মো. সাকের খান (মদন থেকে) : যাতায়াত ব্যবস্থার অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে বাস। আর সেই মাধ্যমটিই নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই চলছে জেধারছে নেত্রকোনার মদন উপজেলার যাত্রীবাহী পরিবহন।
মদন থেকে নেত্রকোনা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও বিয়ানীবাজার সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। আর এই চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও স্বাস্থ্য বিধি না মেনে যাত্রী বহন করছে। প্রশাসন মাঝে মধ্যে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে জরিমানা করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
মঙ্গলবার (১১ আগষ্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মদন থেকে ঢাকাগামী বাস টার্মিনালে বিআরটিসি, শাহজালাল ও মদন টু নেত্রকোনা পরিবহন গুলো স্বাস্থ্য বিধি না মেনে ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে জানা গেছে । বিআরটিসি কাউন্টার যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রতিটি দুই সিটের বিপরীতে দুইজনকেই টিকিট দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও অধিকাংশ গাড়ীর অবস্থা এতই খারাপ যে, দেখে মনে হচ্ছে গাড়িগুলোর ফিটনেস নাই। এগুলো কিভাবে কার অনুমতি নিয়ে চলছে এটা জনসাধারণের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
বিআরটিসি বাসের সুপারভাইজার আলমগীরকে জিজ্ঞেস করলে তিনি এ প্রতিনিধির সঙ্গে দূরব্যবহার করে। বিআরটিসি টিকিট কাউন্টারের টিকিট মাস্টারকে একটি টিকিটে দুই সিট বিক্রি করার প্রমাণ দেখালে তিনি এ প্রতিবেদকের কাছ থেকে টিকিটটি জোর করে নিয়ে যায়।
যাত্রী আবুল বাশার জীবন মাস্টার, সুজন, তসলিম, শিউলি আক্তার, রিনা বেগম ও আসাদুলসহ অনেক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, আমরা বাসের টিকিট নেওয়ার সময় আমাদের একজনকে ২ সিটের বিপরীতে একজনকে টিকিট দেওয়ার কথা থাকলেও আমরা গাড়িতে উঠে দেখি দুইজনকেই টিকিট দেওয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ করলে আমাদের হেনস্তা করে তারা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি বলতে কিছু নাই আপনার যেতে চাইলে জান, না হয় বিকল্প চিন্তা করেন। মদন নেত্রকোনা রোডে কোন সিএনজি চলাচল করতে দেয় না বাস মালিক সমিতি। সাধারণ যাত্রীদের জিম্মি করে রেখেছে বাস মালিক সমিতি। আমাদের নেত্রকোনা যাওয়া জরুরী বিদায় বাধ্য হয়ে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে গাড়িচালক পলাশ এর সাথে কথা বললে তিনি এ প্রতিনধিকে বলেন, কিসের স্বাস্থ্যবিধি কিসের আইন-কানুন, খাতা-কলমে আছে মাঝে-মধ্যে অভিযান পরিচালনা করলে জরিমানা নিয়ে যাবে এর বেশি কিছু করতে পারবে না।
এ বিষয়ে টার্মিনাল সাধারণ সম্পাদক নুরু খান বলেন, স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী বহন করে তাহলে এই দায়ভার তাকেই নিতে হবে। আমাদের নির্দেশনা আছে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য না করা এবং অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রী নিতে পারবে না।
এ দিকে টার্মিনালের সভাপতি মাজু ভূঞা সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, আমরা কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি পরিবহনকে জরিমানা করেছি। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শাহ আলম জানান, কোন বাস যদি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। আর সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাই তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।