কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় সীমান্তবর্তী কুল্লাগড়া ইউনিয়নের ভেন্নাকান্দা চৌরাস্তা বাজারে আশরাফুল ইসলামের ফার্মেসীর দোকানে পথ পাঠাগারের দ্বিতীয় শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (৮ জুন) বিকেলে ফিতা কেটে এ পথ পাঠাগারের উদ্বোধন করেন উপজেলায় মানবিক ও আলোকিত ব্যক্তি হিসেবে খ্যাতি পাওয়া রিকশা চালক তারা মিয়া। এর আগে চলতি বছরের ২ জুন বিকালে উপজেলার পৌর শহরের এম কে সি এম মোড়ে প্রথম পথ পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়েছিল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পথ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদা সারোয়ার, মামুন রণবীর, কবি শাওন হাসান, মাসুদ রানা, সাংবাদিক রাজেশ গৌড়, মো. আশরাফুল ইসলাম, অমল সাংমা, ডা. এম এ সিদ্দিক সহ আরো অনেকে।
উদ্বোধন লগ্নে তারা মিয়া পথ পাঠাগারের সার্বিক সাফল্য কামনা করে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে এ পথ পাঠাগার ভূমিকা রাখবে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে পথ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদা সারোয়ার বলেন, জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনে পথ পাঠাগার প্রতিনিয়ত কাজ করছে। মাদকমুক্ত ও আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে পাঠাগারে বই পড়ার বিকল্প নেই। এভাবে আমরা ক্রমান্বয়ে পথ পাঠাগার ছড়িয়ে দেব সারাদেশে প্রত্যয় বক্ত্য করেন।
সম্প্রতি সুসঙ্গ দুর্গাপুরে প্রথম শাখা স্থাপনের মাধ্যমে পথ পাঠাগার যাত্রা শুরুর করে। এ নিয়ে দু’টি পথ পাঠাগার স্থাপিত হরো। এর মাধ্যমে সকল শ্রেণি ও পেশার পাঠককে বই পাঠে আগ্রহী করে তুলতে বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচি গ্রহণ করার কথা জানান পথ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠার সাথে সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, রিকশা চালক তারা মিয়া করোনার মহামারি শুরুর দিকে দুর্গাপুরের ইউএনও ফারজানা খানমের মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ হাজার টাকা সহায়তা করেন। এছাড়াও তিনি নিজের পুরাতন রিকশা বিক্রি করে সমুদয় অর্থ নৃ-গোষ্ঠীর ৫০ জন দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের কাছে শিক্ষা উপরকরণ কিনার জন্য নগদ দুই শত টাকা করে সহায়তা করে মানবিক ও আলোকিত ব্যক্তি হিসাবে দুর্গাপুরে খ্যাতি পান।
দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারেন নি তিনি। এই দুঃখ লালন করে এই রিকশা চালক বিভিন্ন সময় স্কুল, মাদ্রাসার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে সামর্থ অনুযায়ী বিভিন্ন সময় শিক্ষা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করে থাকেন।