কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কমরেড মণি সিংহের ১১৯তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় মনি সিংহ জাদুঘর টঙ্ক শহীদ স্মৃতি প্রাঙ্গনে করোনা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে এক সংক্ষিপ্ত স্মরনসভার আয়োজন করা হয়।
এতে উপজেলা সিপিবির সাধারন সম্পাদক রুপন কুমার সরকার রুপকের সঞ্চালনায় মেলা কমিটির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সোহরাব হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সিপিবি নেতা কমরেড মনি সিংহের একমাত্র পুত্র ডা. দিবালোক সিংহ।
অন্যন্যের মাঝে এ স্মরন সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ হক, উপজেলা সিপিবির সভাপতি আলকাছ উদ্দিন মীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আলী আজগর, জেলা পরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল হান্নান, সিপিবির সাবেক সভাপতি ডা. সোহরাব উদ্দিন, উপজেলা কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোরশেদ আলম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন মুকুল, প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাহাদাত হোসেন কাজল প্রমূখ ।
বাংলাদেশের কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের শোষন মুক্তির লড়াই ও সংগ্রামের অগ্রনীয় ভূমিকা পালন করেছেন কমরেড মণি সিংহ।
কমরেড মণি সিংহ ১৯০১ সালের ২৮ জুলাই কলকাতার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র আড়াই বছর বয়সে বাবা কালি কুমার সিংহের মৃত্যু পর ঢাকায় তার মামা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুরেন সিংহের বাড়িতে চলে আসেন। মণি সিংহের মা সরলা দেবী ছিলেন তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার সুসঙ্গ দুর্গাপুরের জমিদারদের বড় বোন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হবার পরে পূর্ণ গণতন্ত্র ও শোষণ মুক্ত সমাজের আদর্শকে যারা সামনে এনেছেন তাদের মধ্যে মণি সিংহ অন্যতম একজন।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেসে মণি সিংহ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি তিনি গুরুতর অসুস্থ পড়েন। ৮৪ বছর বয়স পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে পার্টির দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এই মহান নেতার জন্মদিন উপলক্ষে দুর্গাপুরে কমরেড মণি সিংহ মেলা উদযাপন কমিটির আয়োজনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-মহান নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।