কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনার কলমাকান্দায় রবিবার (২৬ জুলাই) ঐতিহাসিক নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে করোনায় পরিস্থিতিতে সীমিত আকারে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে সীমান্তের ১১৭২ নং পিলারে কাছে নাজিরপুর স্মৃতিসৌধে ও ফুলবাড়ী শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও গার্ড অব অনার প্রদান ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে পালিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলকাকান্দা) আসনের সাংসদ মানু মজুমদার, জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী, বিজিবি’র ৩১ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক নুরুদ্দীন মাকসুদ, কলমকান্দা উপজেলার চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল খালেক, দুর্গাপুর সার্কেল সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমিন নেলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. নূরুল আমিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সুলতান গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা চন্দন বিশ্বাস ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি বিশ্বাস প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের এই দিনে নেত্রকোনার কলমাকান্দার নাজিরপুরের এই স্থানে মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হোসেন তারার নেতৃত্বে পাক সেনাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে সাত জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ বহন কওে লেংগুরার গনেশ্বরী নদী পাড়ের ফুলবাড়ী নামক স্থানে সীমান্তের ১১৭২ নম্বর পিলারের কাছে সমাহিত করা হয়।
শহীদ সাত মুক্তিযোদ্ধা হলেন, নেত্রকোনার আবদুল আজিজ ও মো. ফজলুল হক, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মো. ইয়ার মামুদ, ভবতোষ চন্দ্র দাস, মো. নূরুজ্জামান, দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস ও জামালপুরের মো. জামাল উদ্দিন।