পূর্বধলা প্রতিনিধিঃ
সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নির্মিত হলো পূর্বধলা জগৎমনি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাইকেল সেডের চতুর্দিকের ওয়াল নির্মাণ। সেইসাথে বিদ্যালয়ের নিজস্ব জায়গার সীমারেখা নির্ধারণ করে স্থাপন করা হয়েছে সীমানা পিলার। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সুধীজনদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।
গত ১৪ জুলাই (মঙ্গলবার) পূর্বধলা জগৎমনি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজস্ব জায়গায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাইকেল সেড এর ফ্লোর পাকা ও বাউন্ডারি নির্মাণ করার সময় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির ও তার ছেলে মোঃ খোকন তাদের লোকজন নিয়ে সেড নির্মাণের জায়গা দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা দেয়ার দাবী করে নির্মাণ কাজে বাঁধা দেন। এসময় নির্মিত সেডের ওয়াল ভেঙে ফেলেন ও প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানসহ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল কাদিরও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাল্টা মানবন্ধন ও আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে অসন্তুষ্টি বিরাজ করছিল। এলাকাবাসীর মধ্যেও সৃষ্টি হয় নানা কৌতুহলের। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানা মন্তব্য করে আসছিলেন অনেকেই।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাইকেল সেডের জায়গাটি বিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পত্তি দাবি করে পুরো বিষয়টি প্রশাসনের লোকজনকে অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাসরিন বেগম সেতু সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে জায়গাটি বিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করে সাইকেল সেডের ওয়াল নির্মানের কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন পাশাপাশি সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জমি মেপে সীমানা কুটিঁ স্থাপনের নির্দেশনা দেন। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার (২০ জুলাই) সার্ভেয়ার মোঃ মহিউদ্দিন ও সদর ইউনিয়নের ভূমি সহকারি কর্মকর্তা অমল চন্দ্র দাস এর উপস্থিতিতে জমি মেপে সীমানা খুুঁটি স্থাপন করেন একই সময়ে রাজমিস্ত্রির মাধ্যমে সাইকেল সেডের ওয়াল নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সুধীজনদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধাংশু শেখর তালুকদার জানান, বিদ্যালয়ের সম্পত্তি রক্ষার্থে কঠোর অবস্থানে থাকার কারণে আমাকে বিভিন্নভাবে নাজেহাল হতে হয়েছে। এমনকি শুনেছি ওই পক্ষ আমার নামে মামলা পর্যন্ত করেছে। পুরো বিষয়টিকে তিনি দুঃখজনক অবহিত করে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।