প্রতারক সাহেদ অবশেষে আটক হলো। সে দুই বছর জেল খেটেছে। তাহলে সে কিভাবে একটি দৈনিক পত্রিকার অনুমোদন পেল। কারন পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন পেতে বিভিন্ন সংস্থার নানা তদন্ত এবং তাদের গ্রীন সিগনাল লাগে।
তবে যেভাবে আলু পটলের ব্যবসায়ীরা পত্রিকার অনুমোদন পাচ্ছে, তাতে সাহেদের মত প্রতারক ক্রিমিনালরা পত্রিকার অনুমোদন পাওয়া তেমন অসুবিধা হবার কথা নয়। এর পেছনে সংবাদপত্রের রথি মহারথীদের আর্শিবাদ এবং সরাসরি হস্তক্ষেপ থাকা অস্বাভাবিক নয়।
যার বিরুদ্ধে ৫০/৫২টি ক্রিমিনাল মামলা। তাকে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার অনুমোদন পাবার ক্ষেত্রে যারা জড়িত,যারা রিপোর্ট দিয়ে তাকে সম্পাদক ও প্রকাশক বানিয়ে সংবাদপত্র জগতের কলংক ডেকে আনলেন,তাদেরও আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন নয় কি?
সাবেক অর্থ মন্ত্রী মুহিত সাহেব যথার্থই বলেছিলেন রাবিশ যেখানে ২০/২৫ টি পত্রিকা দেখা যায়, সেখানে ৪/৫শ দৈনিক কোথা থেকে আসে। সংবাদপত্র জগতটি এখন অসাধু লোকের ছড়াছড়ি। এরমধ্যে ২/৪ টি যে ভালো না তা নয়। তারপরও আমি বলতে চাই,সারা দেশের সকল দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক পত্রিকাগুলি সরজমিন তদন্ত করলে সরকারের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে — নিঃসন্দেহে। সরকারের অনেক টাকা অপচয় থেকে রক্ষা পাবে।
দেশের সংবাদপত্র গুলির দেখভাল যারা করেন,
তাদের বেশীরভাগই দূর্নীতিবাজ। টাকা পেলে তারা সহজেই নয় ছয় করে। সোজা কথা লুটপাট চলছে।
সাহেদের মত শত সাহেদ আজ পত্রিকার মালিক কিভাবে হলো। পৃষ্ঠপোষক কারা। কতকপি ছাপা হয়।ড্যামি পত্রিকা বের করে সরকারের ক্রোড়পত্র হাতিয়ে নিয়ে লাখ লাখ টাকা নিয়ে যাচ্ছে, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে আবেদন জানাই একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে নির্ভেজাল তদন্ত করলে থলের কালো বেড়াল বের হবে।
প্রতারক সাহেদের নতুন কাগজ একজন দুবছর জেলখাটা ও ৫০/৫২টি মামলার আসামী কিভাবে অনুমোদন নিয়ে আসে তার নেপথ্য খুঁজে বের করা দরকার। এ ব্যাপারে ভালো জাতীয় দৈনিক গুলোএকটি বিশেষ ভুমিকা রাখতে পারে।
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ তথ্য মন্ত্রনালয়কে অনুরোধ করবো,একটি সংবাদপত্র জগতের কালো বিড়াল গুলোকে এখনই খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার এখনই সময়।
রবীন্দ্রনাথ পাল
নির্বাহী সম্পাদক
দৈনিক আজকের বাংলাদেশ।