সাইফুল আরিফ জুয়েল, (মোহনগঞ্জ) নেত্রকোনা : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় অবৈধ বিদ্যুৎের সংযোগের ছড়াছড়ি। পৌর শহরে শিয়ালজানি খালের দুই পাশে নির্মিত স্টিলের রেলিং বসানোর কাজে পল্লী বিদ্যুৎের খুঁটি থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে কাজ করছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
ইতিমধ্যে সরকারি পাইলট স্কুলের ছয়তলা ভবন নির্মাণে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহারের ঘটনার এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার শিয়ালজানি খালের উন্নয়ন প্রকল্পে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ড্রিল মেশিন চালানোর তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এর দুই দিন আগেও পৌরশহরের রাউত পাড়া এলাকায় ড্রেন নির্মাণ কাজে রড কাটার কাজে অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করা হয়। এ সময় সংযোগ লাগাতে গিয়ে শামীম মিয়া নামে এক শ্রমিক বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
সম্প্রতি বিদ্যুৎের ভুতুরে বিলের জন্য এসব অবৈধ সংযোগকে দায়ী কওে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শিয়ালজানি খালের দুই পাড়ে রেলিং বসানো কাজের বরাদ্ধ এক কোটি ৬০ লাখ টাকা। ময়মনসিংহের এম রহমান নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজটি করছে। ইতিমধ্যে বেশি অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে পুরো কাজেই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে করা হয়েছে জানায় স্থানীয়রা।
বুধবার (১৫ জুন) দেখতে গিয়ে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এ সময় শিয়ালজানি খালপাড়ে ড্রিল মেশিন চালাচ্ছেন শ্রমিক বাবলু ও মতিউর রহমান। তারা জানান, ঠিকাদার ও পাউবো কর্মকর্তাদের নির্দেশেই খুঁটি থেকে সংযোগ নিয়ে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহাগ ফকির জানান, ‘আমি নতুন জয়েন করেছি। এই বিষয়ে তেমন জানি না। আর বক্তব্য দিতে হলে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দিতে হবে।’বিস্তারিত জানতে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়টি স্বীকার করে পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অমিতাব চৌধুরী বলেন, আশেপাশে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছিল না তাই এভাবে খটুটি থেকে লাইন টেনে কাজ করা হচ্ছে। আর কয়দিনেই মধ্যেই কাজটি শেষ হয়ে যাবে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে কিছু না লিখার জন্যও তিনি জানান।
তবে এ বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে জানান মোহনগঞ্জ পল্লীবিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম বিপ্লব কুমার পাল।