বাবলী আকন্দঃ
দালাল চক্রের মাধ্যমে ৭ বাংলাদেশী সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়ে ০৮ মাস যাবৎ মানবেতর জীবন-যাপন করছে। উচ্চ বেতনের চাকুরি দেওয়ার নামে ভিকটিম ০১। মোঃ সেলিম মিয়া(৩৩), পিতা- মাইন উদ্দিন, সাং-কিসমত দেওলা, ২। মোঃ আজহারুল ইসলাম(১৮), পিতা-আলী হোসেন, সাং-দারুয়ারী, ০৩। সোহেল মিয়া(২৭), পিতা- হানিফ উদ্দিন, সাং-চর আশাবট, ০৪। মোঃ খোকা মিয়া(২৫), পিতা-ফজল হক, সাং-রঘুরামপুর, ০৫। রমজান আলী (৩২),পিতা-হানিফ উদ্দিন, সাং-চর আশাবট, ০৬। মোঃ মোখলেছুর রহমান(৩৫), পিতা-মোঃ শরাফ উদ্দিন, সাং-কিসমত দেওলা, সর্বথানা-ফুলপুর, ০৭। মোঃ তানিম মিয়া(১৮), পিতা-মোঃ আতাউর রহমান, সাং-পানিহরী, থানা-তারাকান্দা, সর্বজেলা-ময়মনসিংহগন স্থানীয় দালালের প্ররোচনায় সর্বমোট ৩৯,৬৫,০০০ /-(উনচল্লিশ লক্ষ পয়ষট্টি হাজার) টাকার বিনিময়ে সৌদি পাঠায়। পাঠানোর পর হতে ভিকটিমগন সৌদি আরবে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে এবং না খেয়ে মানবতর জীবন যাপন করছে মর্মে বাংলাদেশ পুলিশের ফেইসবুক পেইজে একটি পোষ্ট করে। উক্ত পোষ্টটি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স গুরুত্ব বিবেচনা করে ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপারকে তথ্য প্রদান করেন।
তাদের মানবেতর কাহিনীর তথ্য পেয়ে পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ বিষয়টি প্রাথমিক তদন্ত সাপেক্ষ্যে দালাল চক্রকে সনাক্ত করতঃ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশনা প্রদান করেন। উক্ত নির্দেশনা মোতাবেক দালাল চক্রের অন্যতম সদস্য মানবপাচারীকারী ১। জামাল উদ্দিন (৪০), পিতা মৃত-নজর মামুদ, মাতা মৃত-কদরজান, সাং-ছোট শুনই, থানা-ফুলপুর, জেলা-ময়মনসিংহকে ইং ১২/০৭/২০২০ তারিখ ভোর রাত্রে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে। এই সংক্রান্তে ভিকটিমের ভাই মোঃ আকরাম (৩৫), পিতা- মাইন উদ্দিন, সাং-কিসমত দেওলা, থানা ফুলপুর, জেলা-ময়মনসিংহ থানায় অভিযোগ দায়ের করিলে ফুলপুর থানার মামলা নং-০৯, তারিখ-১২/০৭/২০২০, ধারা-মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬(২)/৭/৮(২) রুজু হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।