গত ২ শে জুন ২০২০ইং তারিখে দৈনিক আমাদের কণ্ঠ পত্রিকা, ক্রাইম সিলেট.কম, সংবাদ গ্যালারী.কম, ময়মনসিংহ টাইম.কম, স্বাধীন নিউজ২৪.কম, আবিদুর রহমান ফেইস বুকসহ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় “মেয়ের বিরুদ্ধে দেশে বিদেশে নির্যাতনের অভিযোগ মায়ের” শিরোনামে যে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে- আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদে উল্লেখিত যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে এবং আমার বিরুদ্ধে যে সকল কথা বার্তা লিখেছে তা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমার মান সম্মান নিয়ে যে সকল ভিত্তিহীন অভিযোগ লেখায় আনা হয়েছে তাতে আমার পরিবারের মাঝে ভাঙ্গনের সৃষ্টি গভীর নীল নকশা- ।
প্রকাশিত সংবাদে আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ লিখেছে-
সংবাদে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করার কথা উল্লেখ্য করা হয়েছে যে, আমি আমার মা’কে নির্যাতনের কারণে আমেরিকার পুলিশ আমাকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে যা আদো সত্য নয়। তিনি দেশের ছেলে-মেয়ে ও স্বামীর ভিটেমাটির টানে নিজেই আসার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন। মূলত দীর্ঘ দিন যাবৎ আমার মা মানসিক ভারস্যহীনতায় ভুগছেন। তাই আমেরিকার পরিবেশের সাথে খাপখাওয়াতে না পেওে আরো শিশুদের মতো আচরণ করতে শুরু করেন। তারপর আমি নিজেই মাকে নিয়ে দেশে আসি।
সংবাদে আমার মায়ের ৪টি দাঁত ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে যা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি আমেরিকা থাকা অবস্থায় ছেলেদের অত্যাচারে মা শিবগঞ্জ দ্বীপপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ফেরদৌসীর বাসায় আশ্রয় থাকা অবস্থায় দাঁতের ইনফেকশন জনিত কারণে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে দাঁত উঠানো হয়। যার প্রমাণিত রয়েছে।
আরো অভিযোগ আনা হয় যে, আমি আমার মা’কে জিম্মি করে ছোট ভাই খন্দকার আবিদুর রহমান আকিবের কাছ থেকে ৫ কাটা জমি লিখে নেই যা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি আমেরিকায় থাকা অবস্থায় ভাইদের ও মায়ের কাছ থেকে ৭৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেছিলাম। যার দলিলপত্রাদি রয়েছে।
আরো উল্লেখ আছে যে আয়েশা হাবিব বিলকিছ গফরগাও থানায় আমার নামে অভিযোগ দায়ের করেন যা সম্পূর্ন মিথ্যা। মূলত ২৩.০৬.২০২০ তারিখে ৭৩৭ নং অভিযোগে আমার মা আমার দুই ভাই খন্দকার ফখরুদ্দিন কল্লোল ও খন্দকার মোখলেছুর রহমান এবং ভাই বৌ মোছাঃ খুরশিদা খাতুনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
আরো অভিযোগ আসে গফরগাও থানার এসআই আবু বক্কর সিদ্দিকের সাথে ১ মাসে ৮০০ বার কথা বলা হয়, যা হাস্যকর। অভিযোগের তদন্তের স্বার্থে আমি ও আমার স্বামী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তথ্যাদি ও সমস্যা নিয়ে কথা বলে থাকি। আমি কথা বলতাম আমার ছোট ভাই খন্দকার আবিদুর রহমান আবিদের নামে সিমটি নিবন্ধিত ছিলো।
আরো অভিযোগ করেন ত্রিশালের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে একা বসবাস করি এবং গফরগাও থানার এসআই আবু বক্কও সিদ্দিক প্রতিনিয়ত এই বাসায় যাতায়াত করত যা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। একটি থানার কর্তব্যরত এসআই সময় মেন্ট্যান করে দায়িত্ব পালন করেন। সংশ্লিষ্ট থানার উপস্থিতির নথিপত্র তদন্ত করলেই সত্য ঘটনা উদঘাটিত হবে।
উল্লেখ্য আবিদের ৯ মাস বয়সে আমার বাবা মারা যায়। তারপর থেকে আমি আমার ছোট ভাইয়ের দেখাশোনা ও পড়াশোনার খরচ বহন করে থাকি। ঢাকা কমার্স কলেজে এইচএসসি’র সময় (১৪/০২/২০১৬) এককালীন ৬ লক্ষ টাকাসহ এ পর্যন্ত পড়াশোনার জন্য প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা খরচ বহন করি, যা মানি ট্রান্সফার রিসিপ্টসহ বিদ্যমান।
প্রকৃত ঘটনা:
আমি ২০০৬ সালে ডিবি ভিসায় আমেরিকায় যাওয়ার পর একটি ভাল চাকরি করি। তখন গ্রামে থাকা আমার অসহায় মা ও ভাই-বোনদের চিন্তা করে তাদের উন্নতির জন্য মাসে মাসে আমি ও আমার স্বামী টাকা পাঠায়। আমার কাছে আমার ভাইয়েরা জমি বিক্রি করতে চাইলেও আমি প্রথমে জমি ক্রয়ে অস্বীকৃতি জানাই। পরবর্তিতে অন্যজনের কাছে জমি বিক্রি করতে চাইলে পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে আমি ৭৩ শতাংশ জমি ক্রয় করি। তবে আমার ভাই-বোনদের আর্থিক সাহায্য ও স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমি তা আমার নামে দলিল করি। এ পর্যন্ত আমি আমার পরিবারকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা দিয়েছি যার মধ্য থেকে তৎকালীন ১২ কাটা জমি (কাটা প্রতি ৪০০০০/- টাকা, এবং ৩ কাটা ১৫০০০০/- টাকা) ক্রয় করে দিয়েছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি আমার সম্পত্তি দখলদারিত্ব ও বিক্রি করতে চাইলে এলাকার কিছু স্বার্থান্বেশী কুচক্রী মহলের ভাইদেরকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার আমার ভারসাম্যহীন মাকে দিয়ে ভাই-বোনদের নামে মিথ্যা অপবাদ ও এমনকি আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনে। অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মোকদ্দমার বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুন্দরভাবে নিষ্পত্তি করেন।
আমার উপর মানহানি ও আপত্তিকর অভিযোগের আইনি বিচারের দাবি করছি।
নিবেদক
হাবিবা খাতুন মুন্নী
স্বামী: নুরুল আলম
ত্রিশাল বাজার
ময়মনসিংহ