পূর্বময় ডেস্কঃ পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম (বার) অফিসার-ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহের নির্দেশে এসআই(নিঃ) আনোয়ার হোসেন সংগীয় এসআই(নিঃ) আলাউদ্দিন বাদল সংগীয় অফিসার ফোর্সসহ কোতোয়ালী থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ইং ২৫/০৬/২০২০ তারিখ রাত ০৩.৫০ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী থানাধীন চুরখাই ফিলিং ষ্টেশনের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্ব থেকে অস্ত্রধারী ডাকাত ১। মোঃ শাহজাহান (২৮), পিতা মৃত-সৈয়দ আলী, মাতা-মোছাঃ খালেদা আক্তার, সাং-গংগাদাসপুর, থানা-কালাই, জেলা-জয়পুরহাট, ২। মোঃ মেহেদী হাসান মৃধা@ হাসান (২৮), পিতা- মৃত এমদাদুল মৃধা, মাতা-মোছাঃ ঝর্ণা বেগম, সাং-শংকরদি নদীরপাড় মৃধাবাড়ী, থানা-রাজৈ, জেলা-মাদারীপুর, ৩। মোঃ রনি (২৫), পিতা মৃত-শহীদ, মাতা-শাহনাজ, সাং-ঝাউগড়া, থানা-কোতোয়ালী মডেল, জেলা-ময়মনসিংহ, ৪। মোঃ আঃ রহিম (২৮), পিতা-টগরু মিয়া, মাতা-রহিমা বেগম, সাং-কালাম খামার, থানা-উলিপুর, জেলা-কুড়িগ্রামদেরকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজতে হইতে ০১(এক) পাইপগান, ০২(দুই) টি কার্তুজ, ০৬(ছয়) টি চাপাতি, এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি মাহেন্দ্র পিকআপ গাড়ী উদ্ধার করা হয়।
অপর একটি অভিযানে প্রতারক গ্রেফতার
গত ইং ১৫/০৬/২০২০ তারিখ সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় মুক্তাগাছা বাজারে হক মিয়ার ভাই ভাই ষ্টোর নামক দোকানের সামনে দারাগো শফিক নামে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়া রুহুল আমিনকে বলে যে, ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন ও ময়মনসিংহ জেলখানার কিছু ধান বিক্রী করা হবে, উক্ত ধান ক্রয় করিবে কিনা? রুহুল আমিন তাহার আসামী কথা বিশ্বাস করিয়া উক্ত ধান ক্রয় করার জন্য ৮৪০/-(আটশত চল্লিশ) টাকা মন দরে দাম ঠিক করিয়া তাহার কথায় রাজি হইলে, রুহুল আমিনকে উক্ত প্রতারক বলে যে, পুলিশ লাইন গেইটে আসলে রুহুল আমিনকে ধান দেখাইবে এবং তার নিকট হতে টাকা নিয়া পুলিশের ব্যবহৃত গাড়ী দিয়া ধান মুক্তাগাছা বাদীর দোকানে পৌছিয়া দিবে। রুহুল আমিন প্রতারকের কথায় বিশ্বাস করিয়া পুলিশ লাইন মেইন গেইটের সামনে মোটর সাইকেল যোগে পুলিশ সুপারের অফিসে যাওয়া যাবে না আপনি এক তার সাথে আসেন ও মোটর সাইকেল পুলিশ লাইনের ভিতরে রাখিয়া বাহিরে দাড়িয়ে অপেক্ষা করুক পুলিশ লাইনের ভিতরে ট্রাকে ধান লোড করা হচ্ছে। উক্ত প্রতারক বাদী রুহুল আমিনকে বলে যে, পাশের দোকান হতে সিগারেট ও সাদা কাগজ ক্রয় করে নিয়া আসতে। বাদী রুহুল আমিন তাহার কথায় বিশ্বাস করিয়া পাশের সাথে দোকান হইতে সিগারেট ও সাদা কাগজ ক্রয় করিয়া নিয়া আসিয়া দেখ উক্ত ব্যক্তি নাই। পরবর্তীত রুহুল আমিন এই সংক্রান্তে কোতোয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ করলে, কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৩৪, তারিখ-১৫/০৬/২০২০ ইং, ধারা-১৭০/৪০৬/৪২০ পেনাল কোড রুজু হয়। উক্ত বিষয়টি পুলিশ সুপার মহোদয়ের নজরে আসলে, তিনি জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার-ইনচার্জকে উক্ত প্রতারক চক্রকে গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার-ইনচার্জ এর নেতৃত্বে একটি টিম আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক শহিদুল ইসলামকে ঢাকা বনশ্রী এলাকা হতে ইং ২৪/০৬/২০২০ তারিখ মধ্য রাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত প্রতারকের নিকট হতে বিভিন্ন কোম্পানীর শতাধিক সিম কার্ড ও ০৬টি মোবাইল জব্দ করা হয়। সে বিভিন্ন জেলায় পুলিশ লাইন কেন্দ্রীক এধরনের প্রতারণা করছে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম ঠিকানা-
১। মোঃ শহিদুল ইসলাম (৫৫)
পিতা মৃত-রফিকুল ইসলাম
মাতা মৃত-আয়েশা খাতুন
সাং-ধর্মপুর, থানা-কসবা, জেলা-বি-বাড়ীয়া
এ/পি সাং-বাসা নং-৭, ব্লক-বি, রোড নং-০৩, বনশ্রী,
থানা-রামপুরা, ডিএমপি, ঢাকা।