ফারজানা আক্তারঃ
“শিক্ষা হোক সার্বজনীন” কম খরচে সর্বোত্তম শিক্ষা। এই স্লোগানকে কেন্দ্র করে করোনা মহামারী তে অনলাইন শিক্ষা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই তরুণ শিক্ষার্থী মাহির মুজাহিদ ও মুহাম্মাদ নুহাল রহমান চৌধুরী।
শিক্ষা মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। সর্বপরিসরে শিক্ষা নিশ্চিত না করতে পারলে একটি দেশ কখনই উপরে উঠতে পারবে না। কিন্তু বাংলাদেশের মত একটি তৃতীয় বিশ্বের দেশের ছেলে মেয়েদের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে বাংলাদেশ সরকার হিমশিম খাচ্ছে! মাত্র ১২ টাকা মাসিক বেতন দেয়ার পরও বাংলাদেশে ২৭% মানুষ অর্থাৎ ১,৪০,০০,০০০ মানুষ শিক্ষার আলো পায় নি। এর প্রধান কারন হচ্ছে শিক্ষার্থীরা যত উপরের শ্রেনিতে উঠছে স্কুলের পড়া তাদের জন্য পর্যাপ্ত হচ্ছে না।
ঠিক এইকারনেই শিক্ষার্থীরা এখন হয় কোচিং নয় প্রাইভেট টিউশনের দিকে ঝুকছে। কোচিং এর শিক্ষক-শিক্ষর্থী অনুপাতও স্কুলের মতই। তখনি সর্বোচ্চ শিক্ষার মান বজায় রাখতে অভিভাবকেরা প্রাইভেট টিউশনের দারস্থ হন।
প্রাইভেট টিউশন, যেখানে এক বা একাধিক শিক্ষার্থী (২-৪ জন), কোন নির্দিষ্ট শিক্ষকের কাছে এক বা একাধিক বিষয় নিয়ে পড়ে। খুবই ভাল একটি পদ্ধতি শিক্ষাদানের। কিন্তু প্রাইভেট টিউশনের ব্যায় বহন করা বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। বাধ্য হয়ে তারা ঐসব যায়গায় যায় যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ঃ১৫ থেকে বেশি যা তাদের শিক্ষার মানকে অনেকখানি নিচে নামিয়ে ফেলে।
শিক্ষানবিশ ঠিক সেই সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে। যেখানে কম খরচে একজন শিক্ষার্থী যখন ইচ্ছা যার কাছে ইচ্ছা তার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহন করতে পারে। আর শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যম হবে “ভিডিও কল”! হ্যা! ভিডিও কল! আমাদের সমাজ অনেক সময় এই ভিডিও কলকে অন্যভাবে দেখে। কিন্তু শিক্ষানবিশ একে সত্যিকার অর্থে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার করছে। ভিডিও কলের মাধ্যমে মাত্র ৫-৮ টাকা / মিনিটে একজন শিক্ষার্থী যেকোন শিক্ষক থেকে পড়া বুঝে নিতে পারবে। আগামী মাসের মধ্যেই তারা একটা এপ চালু করতে যাচ্ছে।
শিক্ষানবিশে ২৪ ঘন্টাই শিক্ষক একটিভ থাকবে। শিক্ষকের সর্বোচ্চ গুণ ও মান নিশ্চিত করে সার্চ রেজাল্ট দেয়া হবে। যতটুকুই পড়বে সে শেখার জন্য পড়বে। যতটুকু পড়বে ঠিক ততটুকুর পেয়মেন্টই সে করবে।
শিক্ষানবিশ যে খরচে এবং যত সহজে শিক্ষক দিচ্ছে শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো পৃথিবীতে এর নজির নেই। তারা মনে করছে শিক্ষা হচ্ছে সার্বজনিন। শিক্ষায় সবকিছুর শুরু, শিক্ষায় হচ্ছে দিন বদল।