কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : মোহনগঞ্জে গৃহকর্মী মারুফাকে ধর্ষণ ও হত্যার বিচার দাবি করে নেত্রকোনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি। মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ১১ টায় নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাব হলরুমে স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির সহযোগিতায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত বারহাট্টার সিংধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ মুর্শেদ কাঞ্চনসহ অন্যান্য আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানানো হয় এবং চাঞ্চল্যকার এ ঘটনার দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা।
জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এডভোকেট দেলোয়ারা বেগমের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনাস্থ মোহনগঞ্জ সমিতির আহবায়ক ইকবাল হাসান, আয়োজক কমিটির সম্পাদক আলপনা বেগম, নারী নেত্রী কহীনুর বেগম, নিহত মারুফার মা আকলিমা আক্তার, সন্ধ্যারানি প্রমুখ।
এ চাঞ্চল্যকর ঘটনায় নিয়ে ফেইসবুক সহ জেলার সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নিহতের নিজ জেলার সব উপজেলা সহ এমনকি ঢাকার শাহবাগে মানববন্ধন পালিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে কাঞ্চন চেয়ারম্যনের মোহনগঞ্জ বাসায় কিশোরী গৃহকর্মী মারুফা আত্মহত্যা করেছে বলে চেয়ারম্যান নিজেই হাসপাতালে নিয়ে যান। মযনাতদন্তের পর চেয়ারম্যানের ভয়ে পরের দিন লাশ নিজে গ্রামের বাড়ি বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নে মারুফার নানার বাড়ি কলমাকান্দায় দাফন করা হয়।
থানায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের প্রভাবে হত্যা মামলা না নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বাক্ষর করাতে মারুফার মাকে ভয় দেখানো ও আটকে রাখার অভিযোগ করে ভিকটিম মারুফার মা। ঘটনার দুইদিন পর ১১ মে মারুফার মা ৯৯৯ এ কল করে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসীর হস্তক্ষেপে অবশেষে মামলা নেয়া হয় এবং ওই রাতেই আটক করে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে। ১২ মে আদালতে পাঠালে ১৪ মে জামিনে বের হয়ে আসে চেয়ারম্যান কাঞ্চন।