কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : সংবাদ পরিবেশন করায় সাংবাদিকদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বালু শ্রমিক থেকে কোটি বনে যাওয়া বালুদস্যু আলাল সর্দার। সর্দারের একাধিক স্ত্রী থাকা সত্বেও সম্প্রতি নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পলায়ন সংবাদ পরিবেশন ও ঘনিষ্ট মুহুর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকদের আত্নীয়-স্বজনদের মাধ্যমে দেখে নেওয়ার হুমকি ও ভীতি প্রদর্শন করে বালু শ্রমিক সর্দার আলাল।
সোমবার সোমবার (১৫ জুন) বিকেলে দুর্গাপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল স্থানীয় সাংবাদিকের পক্ষে দুর্গাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, কিছুদিন আগে সৌদি প্রবাসী কাওসার মিয়া কাজলের স্ত্রী কাকৈরগড়া গ্রামের মনি আক্তারকে (২৫) নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন আলাল সর্দার। তাদের নিজেদের পোস্ট করা ঘনিষ্ঠ মূহুর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পরলে তা ভাইরাল হয়। পরে কয়েকজন সাংবাদিক এ নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করায় তাদের আত্নীয়-স্বজনের মাধ্যমে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় এক সময়ে বালু শ্রমিক থেকে শ্রমিক সর্দার এবং বর্তমানে কোটিপতি বনে যাওয়া বালুদস্যু খ্যাতি পাওয়া আলাল সর্দার।
তারা আরও জানা যায়, আলাল সর্দারের নতুন স্ত্রী মনি আক্তারের প্রবাসী স্বামীর বড় ভাই লাক মিয়া বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সোমবার (১৫ জুন) দুর্গাপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আলালে নতুন স্ত্রী মনি আক্তার হাজির হলে তার জামিন নাচক করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন। এতে আলাল সর্দার আরও ক্ষিপ্ত হন।
দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল পূর্বময়কে জানান, আমার দুর্গাপুরে কর্মরত বেশ কয়েকজন সাংবাদিকদের আত্নীয়-স্বজনদের মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমিক বিষয়টি অবগত হয়ে আজ (সোমবার) দুপুরে জরুরী সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের নিরাপত্তা চিন্তা করে বিকেলে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।
এ নিয়ে আলাল সর্দারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বক্তব্য নেয়া যায়নি।
এব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জিডি গ্রহণ করে জানান, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।