স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহ ভালুকায় অবস্থিত কটন গ্রুপ- ফ্যাক্টরি কর্তৃক বেআইনিভাবে চাকরিচ্যুতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর ময়মনসিংহ। দপ্তর দুটির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা গণের তৎপরতায় জোরপূর্বক রিজাইন থেকে আজ রক্ষা পায় প্রায় দেড় শতাধিক শ্রমিক।
করোনা দুর্যোগে সরকার কর্তৃক সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর প্রায় ৮০০ জন শ্রমিককে ছুটিতে রাখে কটন গ্রুপ- ফ্যাক্টরি। সরকারের নির্দেশনা অনুসারে ছুটিতে রাখা শ্রমিকদের মোট মজুরির ৬৫ ভাগ মজুরি পরিশোধ করার কথা বলা হয়। এ স্বল্প মজুরি দিয়ে শ্রমিকরা ঘরভাড়া ও খাওয়া- দাওয়াসহ চলাফেরা করতে কষ্ট হওয়ায় তাদের ডিউটিতে যোগদানের জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানায় শ্রমিকরা।
উল্লেখ্য যে, ঈদের আগে শ্রমিকদের আংশিক বোনাস প্রদান করে এপ্রিলের বকেয়া ৫% মজুরি ও মে মাসের মজুরি পরিশোধ না করেই কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়। ২০১৯ সালের ছুটির টাকাসহ বকেয়া ছুটির টাকাও শ্রমিকদের পরিশোধ করা হয় নি।
ঈদের পর ২৮ মে কারখানা চালুর পর গত ৪ জুন ও ৭ জুন শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নিলে কারখানা কর্তৃপক্ষ মে মাসের মজুরি সহ ১০ জুন বকেয়া পরিশোধ করবে বলে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়। ১০ জুন শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য পাওনা আনতে গেলে জোরপূর্বক রিজাইন পেপারে সই, টিপসই আদায় করে প্রায় ৫ শতাধিক শ্রমিককে মাত্র মে মাসের মজুরির বেসিকের অর্ধেক মজুরি দিয়ে কারখানা থেকে বের করে দেয়। ইতিমধ্যে কলকারখানা অধিদপ্তরের পরিদর্শক কারখানায় পরিদর্শনে গেলে অবশিষ্ট প্রায় দেড় শতাধিক শ্রমিককে ১৫ জুন মজুরি প্রদান করবে বলে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়। এ প্রেক্ষিতে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শহীদুজ্জামানের নেতৃত্বে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ অবশিষ্ট শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের সময় উপস্থিত থাকলে শ্রমিকরা জোরপূর্বক রিজাইন থেকে রক্ষা পেয়ে যায়। এ ব্যাপারে কারখানার শ্রমিকরা জানান, রিজাইন দিতে না হওয়ায় তাদের চাকরি অব্যাহত থাকায় তারা স্বস্তিবোধ করছেন। আংশিক মজুরি দিয়ে তাদের সংসার চলছে না বিদায় তাদের ডিউটিতে যোগদানের জন্য কলকারখানা অধিদপ্তর ও শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণের কাছে অনুরোধ জানান শ্রমিকরা।