কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : পূর্ব শ্রত্রুতার জেরে হামলায় শিকার হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন খালাকে দেখতে এসে সেই প্রতিপক্ষের লোকজনের চুরিকাঘাতে গুরুতর আহত যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দিনগত রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে আনুমানিক ভোর ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সুমন মিয়া নেত্রকোনার মদন উপজেলায় তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী গ্রামের মৃত সবুজ তালুকদারের ছেলে। সে গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন খালাকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে বিরোধী প্রতিপক্ষের লোকজন হাসপাতালেই সুমনকে চুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনার পরপরই জড়িত থাকায় আব্দুল গণি বেচু, বিদ্যা মিয়া ও আজিজুলকে এবং পরে আরো দুইজনকে আটক করতে পেরেছে পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার বালালী গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত ৬ জুন একই গ্রামের আবদুল গণি বেচুকে দৌলতপুর কালিবাড়ি মোড়ে প্রতিপক্ষের লোকজন মারপিট করে। পরে আব্দুল গণি বেচু মিয়ার লোকজন গত ৮ জুন ইউপি সদস্য রিয়াজ আহমেদ সোহেলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর সহ তার বৃদ্ধা মায়ের হাত ও আঙ্গুল ভেঙে গেলে তার বৃদ্ধা মা মদন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।
গত শুক্রবার দুপুরে সোহেলের খালাতো ভাই সুমন তার বৃদ্ধা খালাকে মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে গেলে আব্দুল গণি বেচু, তার ছেলে সানি, ভাই জলিল, ভাতিজা সংগ্রাম, ভাগ্নে শহর মল্লিক, মেয়ের জামাই বিদ্যা মিয়া ও আজিজুল সহ আরো অনেকে অতর্কিত হামলা চালায় এবং চুিরকাঘাতে সুমনকে গুরুতর আহত করে। এতে সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কাজী বুশরা আমিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে সুমনের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে রাত আনুমানিক ৩ টায় সুমনের মুত্যু হয়।
মদন থানার ওসি মো. রমিজুল হক জানান, হামলায় আহত সুমন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শুক্রবার হামলার ঘটনায় নিহতের খালাতো ভাই সুমন বাদী হয়ে মদন থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ওই দিনই হামলায় জড়িত থাকায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দায়ের করা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে বলে তিনি জানান।