কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পলায়ন করে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে লেবার সর্দার সোমেশ্বরী নদীর বালু দস্যু আলালের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
এ ঘটনায় সৌদি প্রবাসীর ভাই দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগও দিয়েছেন।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, কলমাকান্দার উত্তর নাওড়ীপাড়া গ্রামের কাওসার মিয়া দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে কাজ করেন। বিগত ২০১৪ সালে দেশে আসার পর পারিবারিক ভাবেই দুগার্পুরের কাকৈরগড়া গ্রামের মনি আক্তার (২৫) সাথে বিয়ে হয় তার।
বিয়ের এক বছরেই তাদের ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ছেলের মুখ না দেখেই প্রবাস জীবনে ফিরে যান তিনি। এর আগেই স্ত্রী ও তার শাশুড়িকে রেখে যান পৌরশহরের বাগিচা পাড়া একটি ভাড়া বাসায়। ভাড়াবাড়িতে থেকেই স্ত্রী মনি স্থানীয় একটি কলেজ থেকেও পড়াশোনাও শেষ করেন।
এদিকে এরই মধ্যে স্ত্রী মনি আক্তার সম্প্রতি দূর্গাপুরের বালু লেবার থেকে কোটিপতি হওয়া আলাল সর্দারের বুকে জায়গা করে নেয়। আবার এই সমস্ত অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সামজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এবং ইমুতে পাঠালে তার স্বামী কাওসারের মন ভেঙ্গে তছনছ হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে মনি ও আলালের এ সকল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে উপজেলা জুরে আলোচনার ঝড় ওঠে।
এতে প্রবাসী কাউসার ও তার পরিবার লজ্জায় পড়ে যান। পরবর্তীতে তারা এ বিষয়ে দূর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দেন।
সৌদি প্রবাসী পরিবার জানায়, কাওসারের সাথে মনির কোন তালাকই হয়নি। ছোট্ট শিশু বাচ্চাকেও পরিবারের কারো সাথে দেখা করতে দেয়না। আরও হুমকী ধামকী দিচ্ছে মনি আলাল।
বালু শ্রমিক থেকে নেতা কোটিপতি বনে যাওয়া আলাল সর্দারের বর্তমান চার নাম্বার স্ত্রী হিসেবে প্রবাসীর স্ত্রী মনিকে কিভাবে বিয়ে করেন, জানতে একাধিকবার ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সহকারি পুলিশ সুপার (দূর্গাপুর সার্কেল) মাহমুদা শারমীন নেলী জানান, প্রবাসীর ভাই লাক মিয়া একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করছি। শুনেছি ওই আলালের আরও দুতিনটা স্ত্রী রয়েছে। তদন্ত করেই মামলাটি আমলে নেয়া হবে।