কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : মাছের খাবারের বস্তায় ভরা ত্রানের ৩৬ বস্তা চাল বিক্রির উদ্দ্যেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় জব্দ করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় নেওয়ার পথে ট্রলির চালক সহ ট্রলিটি আটক করা হয়।
পরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী চালের ৮০টি খালি বস্তা ও একটি মোটরসাইকেলসহ চালগুলো হেফাজতে নিয়ে এসেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। ট্রলি চালক বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাগরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে এবং রুবেল মিয়া (২৬) নামে একজনকে খুঁজছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কেন্দুয়া উপজেলায় নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশে লিয়াকত মিয়ার ঘর থেকে প্লাস্টিকের বস্তায় চালগুলি পাশ্ববর্তী বলাইশিমুল বাজারে নিয়ে যাচ্ছিল ট্রলিতে করে। এ সময় এক পুলিশ সদস্য স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ট্রলিটিকে আটকায়।
এদিকে লিয়াকত মিয়া পুলিশকে জানান, তার ঘরে স্থানীয় রুবেল ও আশাদুল সহ আরো কয়েকজন জোর করে এসব চাল রেখে গেছে। পরে সোমবার নিয়ে যাবে বলে ট্রলি ডেকে এনে চাল তুলে দিয়ে তারা সরে পড়ে।
কেন্দুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে লিয়াকত মিয়ার ঘর পরিদর্শন করে এ সমস্ত চাল সরকারি সহায়তার চাল ছিল বলে নিশ্চিত করে পূর্ব ময়কে জানান, মাছের খাবারের বস্তায় ভরা ৩৬ বস্থা চাল ট্রলি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলি নিয়ে আসার সময় রাস্তায় রুবেল মিয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আরও ৮০টি খালি বস্তা উঠায় তৎক্ষনিক ট্রলি চালকের কাছ থেকে জানা যায়। ট্রলি আটকের অদূরে রুবেল মিয়া মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে গেলে মোটর সাইকেলটি পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। পুলিশ এর সাথে জড়িত রুবেল সহ অন্যান্যদের খুঁজছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে বিকেলে কেন্দুয়া থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান জানান, এগুলো ভিজিএফের চাল। স্থানীয় সিন্ডিকেড উপজেলার বাদে আঠারবাড়ি এলাকার বকুল মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া কার্ডধারীদের কাছ থেকে এগুলো স্বল্প মূল্যে কিনে নেয়। লিয়াকত মিয়াকে সন্দেহ করা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) আল ইমরান রুহুল জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও খুঁজে বের করবে পুলিশ।