কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যুবতীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে সম্প্রদায়ের যুবক প্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই যুবতী রাজধানী ঢাকায় বিউটি পার্লারে কাজ করতেন।
এ ঘটনায় নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানার পুলিশ রবিবার সকালে একই সম্প্রদায়ের (জাতি জাতিসত্ত্বা) যুবক সজীব নংমিনকে (২৫) গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে বিকেলে বিজ্ঞ আদালত কারাগারে প্রেরণ করেন। অভিযুক্ত যুবক উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের বড় মনগড়া গ্রামের নিকুলাস ঘাগ্রার ছেলে।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত যুবক সজীব নংমিন ও যুবতীর বাড়ি পাশাপাশি থাকার সুবাদে তাদের প্রায়ই দেখা ও কথা হতো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যেই তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর মধ্যেই যুবতী রাজধানী ঢাকায় বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। করোনা ভাইরাস মহামারীতে গত ২০ মে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ীতে চলে আসে ভিকটিম। বাড়ীতে আসার পর থেকেই প্রেমিক যুবক সজীব নংমিন তাকে বিবাহ করার প্রলোভন ও ফুসলিয়ে বড় মনগড়ায় সজীবের মাসি আনু নংমিনের বসত ঘরে গত ৩ জুন রাতে জোরপ‚র্বক একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে সজীব নংমিনকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কলমাকান্দা থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ভিকটিম নিজেই। রবিবার সকালে যুবতীকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। অভিযুক্ত সজীব নংমিনকে বিকালে আদালতের পাঠালে বিজ্ঞ আদালত কারাগারে প্রেরণ করেন বলে তিনি জানান।