কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মাহবুব মোর্শেদ কাঞ্চনের বাসার কিশোরী গৃহকর্মী মারুফা হত্যার বিচার দাবী করে নেত্রকোনায় মানববন্ধন পালিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নেত্রকোনাস্থ মোহনগঞ্জ সমিতির উদ্যোগে মোক্তারপাড়া জেলা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানব্বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা শহরে থাকা মোহনগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন অংশ নেয়।
এসময় বক্তারা বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মাহবুব মোর্শেদ কাঞ্চনের বিগত দিনের সকল অন্যায় কর্মকাণ্ড তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন। এসময় নিহত মারুফার মা আকলিমা আক্তার কান্না কন্ঠে তিনিও তার মেয়ের সুষ্ঠু বিচার চান।
মানববন্ধনে সমাপনী বক্তব্যে আয়োজক সংগঠনের আহবায়ক মো. ইকবাল হুসেন তপু বলেন, এর আগেও এই চেয়ারম্যান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে বরখাস্ত হয়ে উপর মহলের তদবিরে ১৫ দিনের ভেতরেই পুনরায় দ্বায়িত্বভার গ্রহণ করে। তিনি এখনও ছাড় পেতে তদবিরে করে যাচ্ছেন। বারবার ছাড় পাওয়ায় এমন ধরনের শিশু হত্যার মতো জঘন্য কাজ আজও করছেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে আমরা আমাদের নারীদের কাছে আজীবন ভক্ষক হয়ে থাকবো। সকল নারী শিশুদের জন্য এটা হুমকি।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে ইউপি চেয়ারম্যান কাঞ্চনের মোহনগঞ্জ বাসায় ১৪ বছর বয়সী গৃহকর্মী মারুফা আত্মহত্যা করেছে বলে চেয়ারম্যান নিজেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এবং প্রচার চালান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ ময়নাতদন্দের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ময়নাতদন্তের পর ১০ মে নানার বাড়ি কলমাকান্দায় দাফন করে মারুফাকে। ১১ মে ৯৯৯ এ কল করে সহায়তা চাইলে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসীর হস্তক্ষেপে মোহনগঞ্জ থানায় মামলা নেয়। রাতেই চেয়ারম্যানকে আটক করে ১২ মে আদালতে পাঠায় এবং ১৪ মে জামিনে বেরিয়ে আসে চেয়ারম্যান।