কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় টানা কয়েকে দিনের বৃষ্টি ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিন গ্রামের অর্ধ শতাধিকের উপর বাড়ি-ঘর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা ওইসব বসতিদের ৫-৬ জন নিজেদের ঘর নিজেরাই ভেঙে নিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার বিকেলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের ভুলিপাড়া, বড়ইকান্দি, খামারখালী গ্রাম ঘেষে সোমেশ্বরী নদীর স্রোতে পাড় ভেঙে যাচ্ছে। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি ও পার্শ্ববর্তী মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদীর তীর ভাঙনের ফলে খামারখালী বাজারের কিছু অংশ নদী গর্ভে হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
হঠাৎ বন্যার পানির আগমনে নদীর পাড়ে বসতিরা পড়েছেন বিপাকে। নদীর পাড়ের প্রবল স্রোতে নদীর তীরের নিচ দিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়ে অনেক জায়গা দেবে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভাঙ্গন থেকে ঘর-বাড়ি রক্ষা, ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে বরইকান্দী মোছা. জেলেকা খাতুন, মো. সমেশ খাঁ, মো. তারা মিয়া, মো.আ. মান্নান, মোঃজসিম উদ্দিন, মো. রফিকুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকটি পরিবার তাদের ঘর-বাড়ি ভেঙে নিয়ে গেছে। আতঙ্ক ও ঝুঁকিতে রয়েছে অর্ধ শতাধিকের উপরে বাড়ি-ঘরের লোকজন। যে কোন মুহুর্তে ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে চলে যেতে পারে আশংকা রয়েছে স্থানীয়দের।
কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভাঙন কবলিত লোকজনদেরকে সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।
দুর্গাপুরের ইউএনও ফারজানা খানম জানান, সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরে বেশ কয়েকটি পরিবারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে শুনেছি। বিষয়টি পরিদর্শন করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।