চলো, জল ঘোলা করি।
তারপর মাছ শিকারে যাই।
যার যা ইচ্ছামত সাথে নাও
শিকারের তৈজস।
যে যা পারে মহান নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে
খাচ্ছেদাচ্ছে, ঠিকাদারি করছে, উঁচু দালান বানাচ্ছে
যেখানে যার খুশি চালিয়ে দিচ্ছে নাম
ব্যানারে, ফেস্টুনে, বিলবোর্ডে, মুখোশধারীর পোস্টারে।
এমনকি ব্রহ্মপুত্রঘেঁষা যে বিস্তৃীর্ণ প্রান্তর
দমভরে বাতাস নেবার খোলামেলা ময়দান
দখলে নিতে চায়, সুযোগসন্ধানী শকুনের চোখ।
এই সবুজ মাঠ আমার পূর্বপুরুষের
এই বিশাল প্রান্তর আমার বুকের জমিন
এই খোলামেলা হাওয়া আমার শ্বাসপ্রশ্বাস।
এখানে বঙ্গবন্ধু দরদী মুখের মায়ার সাথে
প্রতিটি ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশিরবিন্দুর সাথে
ব্রহ্মপুত্রের জলরাশি আর বিশাল জনপদের সাথে
নিজের রক্তবিন্দু আর স্বপ্ন মিশিয়ে কথা বলেছেন।
এবার শতবর্ষ উদযাপন করছেন বঙ্গবন্ধু।
সকল তামাশা, তাচ্ছিল্য আর তস্করের
যাবতীয় কলাকৌশল দেখে তিনি কটাক্ষ করছেন।
তার তর্জনী উঁচুতে উঠাতে উঠাতে খোঁচা দিচ্ছেন
তোমাদের চোখে।
এতসব উন্নয়ন-তামাশা দেখে হাসছেন তিনি!
আর বাতাসে শোনা যায় নেতার হুংকার।
সার্কিট হাউস ময়দানে–বুকের জমিনে
চার দেয়ালের কোনো কারাগার নয় আর।
নয় ঘোলা জলে মাছ শিকার।
।।।
আহমেদ স্বপন মাহমুদ