স্টাফ রিপোর্টারঃ
র্যাব-১৪ এর সিপিএসসি এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানাধীন নালীখালী গ্রামের জনৈক আনাম এর বাড়িতে কতিপয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি’র সদস্যগণ একত্রিত হয়ে নাশকতা করার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করছে। উক্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৪, সিপিএসসি এর আভিযানিক দল গত ৩১ মে ২০২০ তারিখ ভোর ০৩.৪০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর সময় আসামী ১। মনোয়ার হোসেন @ মাজন (২৪), ২। সানোয়ার হোসেন @ সাজন (২৪),উভয় পিতা- চাঁন মাহমুদ, ৩। মোঃ শফিকুল ইসলাম (৪৩), পিতা-মোঃ সৈয়দ আলী, ৪। মোঃ মোস্তফা (৩০), পিতা-মোঃ জালাল উদ্দিন সর্ব সাং- নটাকুড়ি, ৫। আব্দুস সামাদ (৪০), পিতা-মৃত শাহাদ আলী, সাং-গোয়ালিয়াবাড়ী, সর্ব থানা- মুক্তাগাছা, জেলা ময়মনসিংহদের আটক করা হয় এবং তাদের হেফাজত থেকে বিপুল পরিমান উগ্রবাদী বই ও লিফলেটসহ বিভিন্ন উগ্রবাদী ভিডিওসহ ০৩ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এ সময় অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে, দীর্ঘদিন যাবৎ তারা বিভিন্ন ইসলামি মুফতি যেমন জামিলুদ্দীন, জসীমুদ্দীন রাহমানীসহ প্রভৃতি বক্তার বয়ান শুনত এবং এইসব শুনে তারা উগ্রবাদের প্রতি উদ্ভুদ্ধ হয় ও জেএমবি এর সমর্থক এবং সক্রিয় সদস্য হয়ে উঠে। তারা একই চিন্তা-চেতনার অধিকারী হওয়ায় তাদের মধ্যে একে অপরের সাথে অল্প সময়ের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠে এবং উগ্রবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নাশকতার প্রতি উদ্ভুদ্ধ হয়। উল্লেখিত আসামীগণ নিজেদেরকে জেএমবি এর সক্রিয় সদস্য হিসাবে পরিচয় দেয়। আসামীগণ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের জন্য বিভিন্ন কৌশলে কাজ করত এবং সংগঠনের জন্য নিয়মিত চাঁদা (ইয়ানত) উত্তোলন করে সংগঠনের তহবিল সংগ্রহে ভূমিকা রাখত। এ ছাড়াও সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে তাদের যেকোন নাশকতামূলক কর্মকান্ডের পরিকল্পনা ছিল । উপরোক্ত ঘটনা সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
খবর : প্রেস বিজ্ঞপ্তি