কে. এম. সাখাওয়াত হেসেন : নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে প্রায় তিন শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় শিশু ও নারীসহ আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৩০ জন। গুরুদের মধ্যে উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের মৃত জয়নাব আলীর স্ত্রী কাঞ্চনের মা (৬৫) ও একই গ্রামের স্বপন মিয়ার পাঁচ বছরের শিশু ছেলে কাইয়ুমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় হঠাৎ করে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। এই ঝড়ে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সুনই, গোয়াতলা, বরতলি, মুনসুরপুর, নারায়ণপুর, বানিয়াজান, আটিকান্দা, নুনেশ্বর, মল্লিকপুর, দেওগাও, পোখলগাঁও, অভয়পাশা, সীতারামপুর, পাহাড়পুর, স্বমুশিয়াসহ অন্তত ২৫টি গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত ও গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একই সঙ্গে পল্লীবিদ্যুতের বেশ কিছু তারের ওপর গাছের ডালপালা পড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সড়কে গাছ পড়ে থাকায় ওই সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি ঝড়ে বোরো ফসল ও গাছের আম-কাঁঠালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
নেত্রকোনা-আটপাড়া সড়কসহ বেশকিছু গ্রামীণ রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কিছু বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়সহ এ সব বিভিন্ন বিষয় সমাধানে কাজ চলছে।
আটপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা সুলতানা জানান, ঝড়ে কয়েকজন আহত ও বেশ কিছু এলাকায় ঘরবাড়িসহ গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির নির্ধারনে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, উপজেলায় এর আগে গত ১৫ মে দুপুরে ঝড়ে প্রায় দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়।