স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহে কোতোয়ালি থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম ত্রিশালে বদলী হয়েছেন। ফুলবাড়ীর ওসি ফিরোজ তালুকদার ওসি কোতোয়ালি হিসেবে যোগ দিচ্ছেন। ত্রিশালের ওসি ফুলবাড়িয়ায় যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, ওসি কোতোয়ালি মাহমুদুল ইসলাম সম্প্রতি বিভিন্ন কর্মকান্ডে বিতর্কিত হয়েছিলেন।
২৩এপ্রিলের সংবাদ নিচে দেয়া হলোঃ
কোতোয়ালির দারোগা কামালকে খুশি
না করায় কাউন্টার মামলা!
রবীন্দ্র নাথ পালঃকোতায়ালী থানার দারোগার দাবী মোতাবেক টাকা পরিশোধ করত ব্যার্থ হওয়ায় অাসামীদের পক্ষ নিয়ে একটি কাঊন্টার মামলা নিয়ে অাগের মামলার বাদীর লোকজনদের ধরার জন্য বারবার হানা দিচ্ছে। ঘটনাটি কোতোয়ালি থানাধীন চরঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের চর বড়বিলা গ্রামে। থানায় ওসি মাহমুদুল ইসলাম এর নির্দেশে ১৯ নং মামলার বাদীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে অাজ দুপুরে জানান দারোগা কামাল হোসন।
সুত্র জানায়,গত ১৩ এপ্রিল চরবড়বিলা গ্রামের হাবিবুর রহমানের সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জমশেদ অালীর নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় অাসামীরা হাবিবুরের বৃদ্ধ বাবা ইব্রাহিমকে সলফি দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ও হাবিবুরের স্ত্রী নাজমাকে দা দিয়ে মাথায় কোঁপ দেয়।মারাত্মক অাহত দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার দারোগা হাসপাতালে গিয়ে ছবি তুলে তাদের বক্তব্য নেয়।পরে রাতেই চর বড়বিলা গ্রামে গিয়ে স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ নিয়ে ১৪ এপ্রিল কোতোয়ালি থানায় মামলা নেয়। যার মামলা নং ১৯। মামলা রুজুর অাগে বাদীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবী করে ১২ হাজার টাকা নেয়। এরপর বাদী অন্যান্য অাসামীদের গ্রেফতারের অনুরোধ করলে প্রতি অাসামীদের জন্য ২০ হাজার টাকা দাবী করে। তবে বিকালে ঘটনার পর রাতে দারোগা কামাল ঘটনাস্থল থেকে মোশারফ হোসেন নামে একজনকে অাটক করে নিয়ে অাসে।
এদিকে বাদীর কাছ থেকে টাকা না পেয়ে অাসামীদের সাথে অাতাত করে ১৯নং মামলার ৫নং অাসামী জালালউদ্দিনের স্ত্রী হাসনাকে বাদী করে ১৮ এপ্রিল কোতোয়ালি থানায় ২০হাজার টাকার বিনিময়ে বাদী হাবিবুর ও তার পিতা সহ ৫ জনকে অাসামী করে ২৪নংমামলা রুজু করে হাবিবুরদের ধরার জন্য বারবার হানা দিচ্ছে। এব্যাপারে অাজ দুপুর সোয়া ১২ টায় ফোন দিয়ে জানতে চাইলে মামলাতো অামি নেই না। ওসি’র নির্দেশে কাউন্টার মামলা নেয়া হয়েছে। অাপনি ঘটনার পর হাসপাতালে গেলেন,অাহতদের ছবি তুললেন,ঘটনাস্থলে গেলেন,সত্যতা পেয়ে ১৯ নং মামলা নিলেন। তারপরও মিথ্যা মামলা নিয়ে বাদী হাবিবুর সহ ৫ জনকে ধরার জন্য বারবার হানা দিচ্ছেন কেন? দারোগা বলেন হাসনার মামলা ওসি সাহেবের নির্দেশে নিতে হয়েছে। অাপনি ওসি সাহেবের সাথে কথা বলেন। এ ব্যাপারে ওসি মাহমুদুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। মামলার পর হাসনা বলে বেড়াচ্ছেন, যত টাকাই লাগুক তোদেরকে জেল খাটিয়ে ছাড়বো।
পুরো বিষয়টি তদন্ত করার জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাদী হাবিবুর রহমান।