কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : হাওর বেষ্টিত নেত্রকোনায় বিভিন্ন উপজেলায় একের পর এক অসহায় দরিদ্র কৃষকের পাকা ধান কেটে জেলায় বেশ আলোচিত নেত্রকোনা জেলা আনসার ভিডিপি। প্রায় প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন উপজেলার দরিদ্র দুঃস্থ অসহায় কৃষকের পাকা ধান কেটে তাদের বাড়িতে পৌছে দিচ্ছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
বাংলাদেশ আনসার ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ এনডিসি পিএসজি জি এর নির্দেশে নেত্রকোনা জেলার সুযোগ্য ও মানবিক জেলা কমান্ড্যান্ট (অতি: দ: ) পরিচালক মো: জিয়াউল হাসানের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও অবিরত অনুপ্রেরণায় বারহাট্টা উপজেলার উপজেলা প্রশিক্ষক মো: তাজ উদ্দিন এর ব্যবস্থাপনায় করোনা মহামারিকালীন মানবিক বিপর্যয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বারহাট্টা উপজেলার বাউসী ইউনিয়নের মোআটী গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কৃষক মো: দুলাল মিয়ার ২০ শতাংশ জমির ধান সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কেটে বাড়ি পৌঁছে দেন। ধান কাঁটার এ মহৎ ও নিঃস্বার্থ কাজে ১৪ জন আনসার ভিডিপি সদস্য নেন।
অন্ধ প্রতিবন্ধী মো: দুলাল মিয়া বলেন, আমি যখন জানতে পারলাম জেলার আনসার ও ভিডিপি দরিদ্র অসহায় কৃষকের ধান বিনা পারিশ্রমিকে কেটে দিচ্ছেন তখন আমি উপজেলা আনসার অফিসে যোগাযোগ করি। উপজেলা অফিস দ্রুত এতে সাড়া দেয়। এতে আমি অনেক উপকৃত হয়েছি। এজন্য তিনি উপজেলা আনসার ভিডিপি সদস্য, জেলা কমান্ড্যান্ট ও মহাপরিচালক মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ প্রসঙ্গে জেলা কমান্ড্যান্ট পরিচালক মো. জিয়াউল হাসান বলেন, সম্মানিত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ এনডিসি পিএসজি জি মহোদয়ের সদয় আহবানে সাড়া দিয়ে জেলার আনসার ভিডিপি সদস্যরা দিনরাত করোনা মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে। মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে দরিদ্র অসহায় দুঃস্থ কৃষকদের ধান কাটায় সহযোগিতা করতে পেরে ও তাদের দুর্দশা লাগবে আমাদের এমন কার্যক্রম অব্যহত থাকবে বলে তিনি জানান।