কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবু চন্দন কুমার দে’র বিরুদ্ধেপ্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওএমএস, বয়স্ক ভাতার কার্ডসহ সরকারি টিউবওয়েল পাইয়ে দেয়ার নাম করে অনেক টাকা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ করেন তারই ওয়ার্ডের কয়েকজন ।
এ বিষয়ে প্রতিকারে পেতে ৬ জনের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ গত রবিবার (১৭ মে) বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দিয়েছেন।
অভিযোগে বলরামপুর গ্রামের স্বন্দীপ জোয়ারদার বলেন, মেম্বার চন্দন কুমার দে সরকারি টিউবওয়েল পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ১৫ হাজার টাকা নেয়। তিন বছর হয়ে গেলেও আজও টিউবওয়েল বা টাকা কোনটাই পাইনি। একই গ্রামের বিমল জোয়ারদারের কাছ থেকে পঙ্গু ভাতার দেয়ার নামে আড়াই হাজার টাকা নেয়া হলেও আজও কোনটাই পাননি তিনি। এমনি করে জ্যেতিষ জোয়ারদারের কাছ থেকে টিউবওয়েল দেয়ার নামে পাঁচ হাজার, উপানন্দ চন্দ্র মজুমদারের কাছ থেকে বয়স্ক ভাতার কার্ডের নাম করে দুই হাজার, সমর সরকারের কাছ থেকে ওএমএস’র কার্ডের নাম করে তিনশত, মোজাহিদ মিয়ার কাছ থেকে কৃষি ঋণ ও বয়স্ক ভাতার নামে নয় হাজার, মনুষা রানীর কাছে থেকে টিউবওয়েলের নাম করে চার হাজার টাকা নেয়।
প্রতারণার শিকার মোজাহিদ মিয়া জানান, তিন বছর হয়েছে টাকা দিয়েছি আজও কোনকিছু পাইনি। এমনকি টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না মেম্বার। অবশেষে বাধ্য হয়ে অভিযোগ দিয়েছি। চন্দন মেম্বার এভাবে কতজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তার কোন হিসেব নেই। প্রথমে আমরা একজন অন্যজনেরটা জানতাম না। এক সময় কথায় কথায় এসব তথ্য বের হয়েছে। এলাকায় খবর নিয়ে এমন আরো অনেক লোক পাওয়া যাবে যারা মেম্বারকে টাকা দিয়েছে।
এব্যাপারে মেম্বার চন্দন দের সাথে কথা হলে বলেন, আমি দুই বারের নির্বাচিত মেম্বার। তাই আমার জনপ্রিয়তার ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি চক্র আমার পিছনে লেগেছে। দায়েরকৃত অভিযোগটি মিথ্যা বলে প্রমানিত হবে।
এ বিষয়ে খালিয়াজুরির উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এএইচএম আরিফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।