কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনায় গত দুদিনে পুলিশের ৮ পুলিশ সহ নতুন করে ২১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এ নিয়ে জেলায় কর্মকর্তা সহ ১০ পুলিশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের একজন ডিএসবি’র (পুলিশের স্পেশাল শাখা) বাকি সকলেই কেন্দুয়া থানায় কর্মরত। এর আগে একই থানার ওসি ও উপজেলার ইউএনও করোনার নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ আসায় তারা দুজনই পারিবারিক হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
এ পর্যন্ত নেত্রকোনায় ১১৭ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে কেন্দুয়া উপজেলাতে আক্রান্তের সংখ্যা সবার্ধিক ২৪ জন বাকিরা অন্যান্য উপজেলার। গত দুদিনের নেত্রকোনা সিভিল সার্জনের ফেইসবুক পেইজের পোষ্ট থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আরো জানা যায়, গত রবিবার পর্যন্ত মোট ২১৪৮ জনের নমুনা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাইক্রোবায়োজী ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৯৩৩ জনের নমুনার রেজাল্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জেলায় মোট করোনা ভাইরেসে সনাক্তকৃত ১১৭ জন। তারমধ্যে সদর উপজেলায় ১২ জন, বারহাট্টায় ১৪ জন, মোহনগঞ্জে ১৭ জন, খালিয়াজুরীতে ৭ জন, মদনে ১০ জন, কেন্দুয়ায় ২৪ জন, পূর্বধলায় ১১ জন, আটপাড়ায় ১৫ জন, কলমাকান্দায় ৪ জন, ও দুর্গাপুর উপজেলায় ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এদের মধ্যে পুর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসক সহ ৩৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং ২ জনের মুত্যু হয়েছে।
তবে করোনায় উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দুজনের প্রেরিত নমুনার চারদিন পর জানা যায় তারা করোনা পজিটিভ ছিলেন।
মৃত দুজনের একজন মোহনগঞ্জ উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের চৌড়াপাড়া গ্রামের প্রফুল্ল চন্দ্র পালের ছেলে গৌরাঙ্গ পাল (৪৫)। গত ৭ মে তার নমুনা সংগ্রহের পরদিন ৮ মে রাতে মারা যান তিনি। এরপর ১২ মে রাতে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। তিনি সিলেটসহ বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমান ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন।
মৃতদের আরেকজন মদন উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী গ্রামের ৬০ বয়সের বৃদ্ধা ফুলতারা। সে গত ৮ মে নারায়নগঞ্জ থেকে নিজ বাড়িতে আসেন এবং ১০ মে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। ১৪ মে রাতে ময়মনসিংহ পিসিআর ল্যাব থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টে তার কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে।