কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কিমানুষ পেতে পারে না…ও বন্ধু।” আর তাইতো যেখানেই অসহায় দরিদ্রের আর্তনাদ সেখানেই আলোর দৃপ্তি ছড়িয়ে মানবতার জয়গান গেয়ে চলেছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি সদস্য। অসহায়দের সহায় দরিদ্র দুঃস্থ নিঃস্ব মানুষের পাশে নিঃস্বার্থভাবে দাড়ানো, এসবের পিছনে উজ্জীবিত করার কারিগর যে মানুষটি তিনি হলেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজি শরিফ কায়কোবাদ এনডিসি, পিএসজি, জি।
তাঁর প্রেরণায় নেত্রকোণা জেলার জেলা কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও ৬ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক জনাব মো. জিয়াউল হাসান দিন রাত দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে আশা ভরসার বাতিঘর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকেই নেত্রকোণার গণমানুষের কল্যাণে সর্বদাই মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন মানবতার এ ফেরিওয়ালা। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা ও অবিরাম অনুপ্রেরণায় জেলার প্রতিটি আনসার ভিডিপি সদস্য করোনা দুর্যোগকালীন সময়ে নিজের জীবন বাজি রেখে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করা, মানুষকে সরকারি আদেশ মেনে চলতে উদ্ধুদ্ধ করা, অসহায় দুঃস্থ মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করাসহ দরিদ্র কৃষক কৃষাণীদের শ্রমিক সংকটে ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজ অত্যন্ত মানবিকতার সাথে করে চলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আবারো নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার দরিদ্র কৃষক শফিকুল ইসলামের জমির ধান স্বেচ্ছাশ্রমে কেটে দিলো গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ আনসার ভিডিপি সদস্যগণ।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক মো. জিয়াউল হাসান বলেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সম্মানিত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ এনডিসি, পিএসসি, জি মহোদয়ের আহবানে বাহিনীর প্রতিটি সদস্য করোনা সংকটে দেশের এই ক্রান্তিকালীন দুর্যোগ মুহুর্তে নিঃস্বার্থভাবে দেশের তরে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের চল্লিশাকান্দা গ্রামের অসহায় কৃষক শফিকুল ইসলাম এর ৬০ শতাংশ জমির ধান আজ স্বেচ্ছায় কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে উপজেলার ৫০ জন সেচ্ছাসেবী আনসার ও ভিডিপি সদস্য-সদস্যা।
কৃষক শফিকুল ইসলাম আনসার ও ভিডিপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমি অসহায় ও দরিদ্র মানুষ। ধান কেটে ঘরে তোলার মত টাকা আমার ছিল না। আমার এই দুর্দিনে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা আমার যে উপকার করেছে সে জন্য বাহিনীর সকল সদস্যদের প্রতি আমার দোয়া রইলো।
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট মো. মিজানুর রহমান, সার্কেল এডজুট্যান্ট মোঃ মনিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা শাহ মোফাচ্ছেল হক এবং আনসার কমান্ডার, দলনেতা, দলনেত্রিবৃন্দ।