ধর্ষিতা
—–তাহসিনা ইসলাম ছোঁয়া
নৈতিকতা আজ অনৈতিকতার বেড়াজালে আটকে গেছে,
সামাজিক, নৈতিক অবক্ষয় থেকে শুরু করে বাড়ছে ধর্মীয় অবক্ষয়।
ফলপ্রসু হয়ে দাঁড়াচ্ছে ধর্ষণ।
নারী তুমিই যুক্তি,তুমিই প্রতিবাদ,
পাচ্ছে না তার প্রতিফলন।
নারী তুমি ধর্ষিত হচ্ছো
অপমানের বোঝা মাথায় নিয়ে আত্মাহুতি দিচ্ছো
অত্যাচারীর বিচার লালসায় আইনের দ্বারে ঘুরছে অভাগী মা,
ধিক শত ধিক ধর্ষিকদের তাও সাজা হচ্ছেনা
হচ্ছেনা সমাজব্যবস্থার উন্নতি
বেড়েই চলছে ধর্ষণ।
নেতিকতার অবক্ষয় যদি আজ থাকতো-
তাহলে শুনতে হতো না
তনুর বাবা হাহাকার আর
নুসরাত, মারুফার মতো ধর্ষিতা মায়েদের আহাজারি।
দেখতে হতো না-
৬ মাসের শিশু হতে শুরু করে
৪ সন্তানের জননীর ধর্ষণ।
৭১’ এ ধর্ষিতাদের উপাধি ছিলো “বীরাঙ্গনা”
আর আজ সমাজ তাকে বলছে
কলঙ্কিনী ধর্ষিতা।
নীতি নৈতিকতার বোধ হারিয়ে ধর্ষণ করছে
আর দোষ দেয়া হচ্ছে নারীর পোশাককে,
দোষ দেয়া হচ্ছে তার চলাফেরার।
তাও বিচার হচ্ছে না ধর্ষক নামক কালশাপদের।
ওই ধর্ষক যদি আজ থাকতো কারাগারে,
তাহলে অনেক ধর্ষিতা আত্মহনন থেকে আসতো ফিরে,
দেখতে হতো না আমার মা বোনের কান্না অঝোরে।
প্রতিবাদ নয়,প্রতিরোধ থেকে হোক ধর্ষণের শেষ,
অঙ্গীকার হউক, ধর্ষণমুক্ত সোনার বাংলাদেশ।