কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : যেখানেই অসহায় দরিদ্রের আর্তনাদ সেখানেই আলোর দৃপ্তি ছড়িয়ে মানবতার জয়গান গায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের। অসহায়দের সহায় দরিদ্র দুঃস্থের যেকোনো প্রয়োজনে দাড়ানো, এসবের পিছনে উজ্জীবিত করার কারিগর যে মানুষটি তিনি হলেন নেত্রকোনা জেলার জেলা কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও ৬ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক জনাব মো. জিয়াউল হাসান।
জেলার জেলা কমান্ড্যান্টের অবিরাম অনুপ্রেরণায় জেলার প্রতিটি আনসার ভিডিপি সদস্য করোনা দুর্যোগকালীন সময়ে নিজের জীবন বাজি রেখে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করা, মানুষকে সরকারি আদেশ মেনে চলতে উদ্ধুদ্ধ করা, অসহায় দুঃস্থ মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করাসহ দরিদ্র কৃষক কৃষাণীদের শ্রমিক সংকটে ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজ অত্যন্ত মানবিকতার সাথে করে চলেছেন।
মানবিক অনুপ্রেরণায় আবারো শনিবার (১৬ মে) নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলায় স্বামী-সন্তানহীন অসহায় দরিদ্র কৃষাণীর জমির ধান স্বেচ্ছাশ্রমে কেটে দিল গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ আনসার ভিডিপি সদস্যগণ। করোনাকালীন মহামারিতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের আগার গ্রামের অসহায় বিধবা ও নিঃসন্তান রহিমা খাতুন এর ৬০ শতাংশ জমির ধান আজ স্বেচ্ছায় কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে উপজেলার ৫৩ জন সেচ্ছাসেবী আনসার ও ভিডিপি সদস্য-সদস্যা।
এই সময় রহিমা খাতুন আনসার ও ভিডিপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন আমি অসহায় ও দরিদ্র মানুষ। ধান কেটে ঘরে তোলার মত টাকা আমার ছিল না। আমার এই দুর্দিনে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা আমার যে উপকার করেছে সে জন্য বাহিনীর সকল সদস্যদের প্রতি আমার দোয়া রইলো।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক মো. জিয়াউল হাসান বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালীন সংকট মুহুর্তে মানুষের জন্য বিশেষ করে দরিদ্র ও অসহায়দের জন্য কিছু করার মধ্যেই মানবতার সার্থকতা নিহিত। আর এজন্যই বারবার আমরা তাদের পাশে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেই।
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপির মহিলা প্রশিক্ষিকা এবং আনসার কমান্ডার, দলনেতা, দলনেত্রিবৃন্দ।