সাইফুল আরিফ জুয়েল, মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা): নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মাহবুব মুর্শেদ কাঞ্চনের কিশোরী গৃহকর্মী মারুফা হত্যা মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করার সকল পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া ঘটনার পারিপ্বার্শিকতা বিবেচনায় সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন মোহনগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান।
তিনি জানান, খুঁটিনাটি সব বিষয় মাথায় রেখেই মামলার তদন্ত কাজ এগিয়ে চলছে। গত ৯ মে চেয়ারম্যানের মোহনগঞ্জের বাসায় রহস্যজনক মৃত্যু হয় মারুফার। পুলিশকে না জানিয়ে নিজেই মারুফাকে নিয়ে হাসপাতালে যান মুর্শেদ কাঞ্চন। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে ও মারুফার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে এ ঘটনায় মারুফার মা আকলিমা আক্তার ১১ মে তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে মোহনগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা নেওয়া হয়। ওইদিনই চেয়ারম্যান মুর্শেদ কাঞ্চনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ১২ মে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য বেশ সৃষ্টি করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সঠিক বিচারের দাবি তুলে মানুষ। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা ধামাচাপা দেয়ারও অভিযোগ তুলে অনেকে।
ওসি আবদুল আহাদ বলেন, মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নিহত মারুফা আক্তারের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়, যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথের সওব ডাক্তার কর্তৃক সংগ্রহ করে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সেইসাথে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার মতামতের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মারুফার মরদেহ ৯ মে একজন নারী পুলিশ সদস্যর সহায়তায় এসআই হাদিউল ইসলাম সুরতহাল প্রতিবেদন করেন। পরে নারী পুলিশের মাধ্যমেই পোস্টমর্টেমের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ১১ মে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সময় মারুফার মা আকলিমা আক্তারকে এনজিও সংস্থা স্বাবলম্বীর একজন নারী ও একজন পুরুষ সদস্য তাকে সাহায্য করেন।
এ সময় সংস্থার একজন তার সামনে পড়ে শোনান এবং লিখিত অভিযোগে তিনি স্বাক্ষর করেন। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য নেত্রকোনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী মামলাটি তদারকি করছেন বলেও জানান তিনি।