মোঃ নজরুল ইসলামঃ
বিশ্ব আজ এক বৈশ্বিক মহামারীর ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে । বিশ্বে প্রতিদিন নতুন করে করোনা ভাইরাস -র কাছে আত্মসমর্পন করে ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছে হাজার, হাজার আবাল বৃদ্ধ জনতার একটা অংশ।তেমনি প্রতিদিন নতুন করে মৃত্যুর মিছিলে বাড়ছে হাজারকে হাজার নতুন মুখ। বাংলাদেশ নামক ছোট্ট ভূখন্ড লাল সবুজের বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। দিনকে দিন এদেশেও বাড়ছে করোনা ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলায় বিগত ২৬-৩-২০২০ইং থেকে করোনা নামক এক মরনব্যাধির ভয়ার্ত থাবা থেকে বাচঁতে সারা বাংলাদেশে লক ডাউন ঘোষনা করা।কার্যকরী তখন থেকে আরো বেশি করে আপামর পূর্বধলাবাসীর পাশে সচেতনতার সহিত মানবঢাল হিসাবে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে দিন রাত নিজ উপজেলার মানুষের মুখে একমুটো হাসি ফোটানোর প্রয়াস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন পূর্বধলার টানা দুই বারের এ যাবৎ কালের সবচেয়ে সফল উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন।
মানুষকে নিরাপদ সুরক্ষিত রাখতে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ৫০ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইটজার তৈরী করে মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়া,পূর্বধলার সচেতন সাংবাদিক সমাজকে একত্রিত করে সকলের মাঝে পিপিই প্রদান করা, সাংবাদিকরা উপজেলার হাট,ঘাট প্রতিটি অলি, গলি, দোকানপাটে গিয়ে করোনা থেকে বাচঁতে চায়ের দোকানে বসে আড্ডা না মারা,নিজ ঘরে অবস্থান করা, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করে, সাংবাদিকদের এ রকম কার্যক্রম সচেতন মহলে অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে বলে অনেকেই মনে করেন।
ইতি পূর্বে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা চেয়ারম্যান সুজনের নিজ উদ্যোগে উপজেলার সর্বত্র জনসচেতনতা মুলক মাইকিং করা হয় সরকারী নির্দেশনা কে মান্য করে প্রতিটি নাগরিককে নিরাপদ দুরত্বে থাকতে। একান্ত নিজ উদ্যোগে উপজেলার গরীব, দুঃস্থ, অসহায় মানুষের মাঝে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে চাল,ডাল আলু, করলা পিয়াজ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ত্রানসামগ্রী আহামেদ হোসের -র নির্দেশনায় উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়নে করোনা প্রতিরোধ ও অসহায় গরীব দুঃস্থদের সাহায্যর্থে তহবিল গঠনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন জাহিদুল ইসলাম সুজন।
করোনায় বরাদ্দকৃত জি আর আই-র চাউল সমহারে সুষম বন্টনের লক্ষ্যে চষে বেরিয়েছেন উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে। বর্তমান সময়ে চলছে ইরি বোরো মৌসুম, কৃষকের ভাগ্য উন্নয়ন ও পালাবদলের এক কাংখিত সময় অনেক গরীব ও বর্গাচাষী কৃষক তার ফসলি জমি টাকার জন্য না কাটাতে পারায় চেয়ারম্যান সুজন নেতাকর্মী ও কৃষকদের সংঘটিত করে নিজ হস্তে কখনও দিনে আবার কখনও রাতের আঁধারে ধান কেটে দিচ্ছেন উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গিয়ে।
দৈনিক পূর্বময় ডটকম-এর স্টাফ রিপোর্টার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামাঞ্চলে ঘুরে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজনের ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘাগড়া ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের সবুজ মিয়া, মেঘশিমূল গ্রামের( সাবেক ইউ পি সদস্য)আব্দুল জব্বার খান বলেন পূর্বধলা উপজেলায় এ পর্যন্ত আমরা
যতগুলো চেয়ারম্যান পেয়েছি তন্মধ্যে সুজনের মত চেয়ারম্যান আর পাই নাই।কারন সুজন সত্যিকার অর্থেই গরীব দুঃখী মেহনতী তথা সাধারন জনতার স্বজন, আপনজন।
পারিবারিক অনুষ্ঠানাদি থকে শুরু করে শেষ কৃত্য অনুষ্ঠান, জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতাল বেডে খোঁজ খবর নেওয়া, প্রতিটা মৃত ব্যক্তির জানাযায় অংশগ্রহণ করা যেন সুজনের নৈতিক দায়িত্বে পরিনত হয়েছে।তাই উপজেলাবাসী জাহিদুল ইসলাম সুজনের মত উপজেলা চেয়ারম্যান যুগ যুগ ধরে নির্বাচিত হউক এমনটাই আশা করেন।