কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : সরকারি সিদ্ধান্তে দোকান পাট খুলে দেয়ার পর থেকেই নেত্রকোনা শহর পরিনত হয়েছে জনস্রোতে। পুলিশের বাধাও মানছে না বাজারে আসা এসকল মানুষ। যতক্ষণ টহল থাকে ততক্ষণ সড়ক পরিস্কার থাকে। এদিকে শুধুমাত্র মেইন সড়কগুলোতে পুলিশের টহল থাকায় বাজারগুলোতে মানুষের ঢল। স্বেচ্ছসেবকরাও অপারগতা প্রকাশ করছেন। জেলা পুলিশ বলছে বাবস্থা নিচ্ছি।
সোমবার শহর ঘুরে দেখা যায়, নেত্রকোনার বিপনীবিতান গুলো খুলে দেয়ার পর থেকে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্যনীয়। বড় বাজার ও ছোট বাজারের প্রতিটি অলিগলিতে মানুষ আর মানুষ। কারো কারো মুখে মাস্ক থাকলেও অনেকের মাস্ক গ্লাভস কিছুই নেই। চলাফেরাও যেনো আগের মতোই স্বাভাবিক। করোনা নামের কিছু একটা ছিলো বলেও বুঝা যাচ্ছে না। নারীরা শিশু সহ দোকান থেকে দোকানে ঘুরেছন অবাধে। সামজিক দূরত্ব বলতে গেলে বালাই নেই।
এদিকে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক দেখে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা বাজারে বাজারে সচেতনতা শুরু করলেও তাদের এই সচেতনতায় কোন কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। রেড ক্রিসেন্টর সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসনে টুকু জানান, অবিলম্বে দোকান পাট বন্ধ না করলে মহামারি অটকানো যাবে না। এই শহরে মৃত্যুর মিছিল থেকে আমরা কেউ রেহাই পাবো না। আমেদের টিম কাজ করলেও দোকানি ক্রেতা কেউই মানছেনা।
নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী বলছেন, মার্কেটে যদি ভিড় বাড়ে তাহলে সরকার আবার বন্ধ করে দেবে এই একটা ভাবনা হয়তো মানুষের মাঝে কাজ করায় প্রথম পর্যায়ে একটু বেশি ভিড় করছে। আমরা এটিকে নিয়ন্ত্রণ করছি। অন্যান্য উপজেরা থেকে কেউ যেনো শহরে আসতে না পারে সেটি নিশ্চিত করছি। বাজার যেহেতু খোলা হয়েছে সেহেতু আমরা তাদের কেনাকাটা বন্ধ করতে পারবো না। তবে সড়কে বেড়িকেড দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখছি। আমরা চাচ্ছি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সরকারের সিদ্ধান্ত ঠিক রেখে এবং মানুষ যাতে অক্রান্ত না হয় যেভাবে সে মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি। শহরের নাগড়া রাস্তাায় কাজ হচ্ছে বলে মেইন শহরে কিছুটা ভিড়।
তিনি আরো জানান, জেলার সদরসহ ১০ থানায় পুলিশ সদস্য রয়েছে ১২০০ এবং পুলিশ লাইনে রয়েছে ৫৫০ জন। সবাই কাজ করছে।
এদিকে জেলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সম্পর্কে চেম্বার সভাপতি মো. আব্দুল সহ জেলা প্রশাসনের কাছে নেই সঠিক পরিসংখ্যান।