কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : বর্তমান করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় সারাদেশে নানা কর্মসুচি পালন করছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। এরই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের কৃষি অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করতে এগিয়ে এসেছে বাহিনীটি। বর্তমান বোরো মৌসুমে ক্ষেতের পাকা ধান কাটা নিয়ে উদ্বিগ্ন গরীব কৃষক যারা ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছে না আবার টাকার অভাবে ধান কাটতে পারছে না তাদের পাশে দাড়িয়েছে আনসার ভিডিপি। তারা অংশ নিচ্ছেন ধান কাটা কার্যক্রমে।
অন্যান্য বছরে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা গুলো থেকে এ অঞ্চলে ধান কাটার জন্য শ্রমিক আসত। কিন্তু এবার বিশ্বব্যপী বিস্তার লাভ করা কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঢেউ বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ায় দেশের প্রায় সকল জেলা লক ডাউন করা হয়েছে। ফলে অন্য জেলার শ্রমিকরা এবার নেত্রকোনা জেলায় আসতে না পারায় বোরো চাষিরা সীমাহীন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ, এনডিসি, পিএসসি, জি এর নির্দেশনায় ময়মনসিংহ রেঞ্জ পরিচালক জনাব হীরা মিয়ার উদ্যোগে আনসার ভিডিপি সদস্যদের এ কাজে উদ্বুদ্ধ করেন নেত্রকোণা জেলার জেলা কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পরিচালক জনাব মো. জিয়াউল হাসান।
তাঁর সরাসরি তত্বাবধানে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায়, পূর্বধলা উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের কিসমত বারেংগা গ্রামের গরীব কৃষক মো. আবদুল জব্বার মিয়ার ৫০ শতাংশ জমির পাকা ধান ক্ষেতে বৃষ্টির পানি ও জোক এমন অসহনীয় পরিস্থিতিতে আর্থিক এবং চলমান করোনা মহামারির দুঃসময়ে স্বেচ্ছাসেবক আনসার ও ভিডিপি সদস্য গন ধান কেটে স্বেচ্ছাশ্রমে বাড়ি পৌঁছে দেন।
এই মহতী ও সেবামূলক কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন পুর্বধলা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম সুজন ও সাংবাদিক মো. এমদাদুল ইসলাম।
এ প্রসঙ্গে জেলা কমান্ড্যান্ট পরিচালক জনাব মো. জিয়াউল হাসান বলেন, করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশেপ্রেমে উজ্জীবিত আনসার ও ভিডিপি নেত্রকোনা জেলার সদস্যদের এ ধরনের নিঃস্বার্থ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এর আগেও নেত্রকোনার পূর্বধলাসহ আরো কয়েকটি উপজেলায় আনসার ও ভিডিপি’র সদস্যরা গরীব অসহায় কৃষকদের ধান কেটে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে তাদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।