কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (নেত্রকোনা) :
শশা ক্ষেতে গরু দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত সহ অন্তত ২১ জন আহত হয়েছে। সোমবার সকালে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় বাড়হা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের অধিকাংশকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে দুপুর ১টার দিকে আবুল বাশার (৩৩) ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেয়ার পরপরই মারা যায়। নিহতের খবর পেয়ে বাশারের বাড়ির লোকজন গরুর মালিক ও তার ভাই এয়াকুব আলীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন সহ অনেকগুলো গরু নিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর সদর সার্কেলের এএসপি মোর্শেদা খাতুন ও ওসি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।
দু’পক্ষের গুরুতর আহত হলো- লিটন মিয়া (৩০), আজিজুল ইসলাম (৪০), হক মিয়া (৩৫), আ. মান্নান (৩৫), রাশিদা বেগম (৪৫)। এছাড়াও উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি সহ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন নারী সহ অন্তত ১৫ জন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে নিহত বাশারের চাচা মঞ্জুরুল হকের জমিতে নওয়াব আলীর গরু শশা ক্ষেত নষ্ট করতে থাকে। মঞ্জুরুল হক তা দেখে গরু নওয়াব আলীর বাড়িতে বেঁধে রেখে চলে আসে। এর কিছু পরে নওয়াব আলীর ছেলেরা গরু কেন বাড়িতে বেঁধে রাখা হয়েছে জানতে চাইলে দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দু’পক্ষের অন্তত ২২ আহত হয়েছে বলে জানা যায়। তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে গুরুতর ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে নেয়ার পর আবুল বাশার মারা যান।
এদিকে নিহতের খবর পেয়ে তার বাড়ির লোকজন গরু মালিকের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। এতে নওয়াব আলী ও তার ভাই এয়াকুব আলীর বাড়ি-ঘর ভাঙচুর সহ ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে এবং ওই বাড়ি থেকে ২২টি গরু নিয়ে আসে নিহত বাশারের বাড়ির লোকজন স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এব্যাপারে পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ করতে লোকজন থানায় এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।