কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন নেত্রকোনা :
নেত্রকোনার করোনায় সাবির্ক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেছেন জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় জেলায় করোনায় শনাক্ত সহ ত্রান সহায়তা এবং সাবির্ক লক ডাউন চিত্র সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক।
এ সময় জেলা প্রশাসক জানান, এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ হচ্ছে তথ্য গোপন করা। রোগীরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ গার্মেন্টসে চলে যাচ্ছেন। প্রথমে যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা তথ্য গোপন করে বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা নেয়ায় স্থানীয়ভাবে ডাক্তাররা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।‘
গত ৩ মে পর্যন্ত জেলায় মোট ৫৭ জন করোনা শনাক্ত পাওয়া যায়। তার মধ্যে চারজন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আইসোলেশনে। বাকী ৪১ জন নি নিজ বাড়িতে। ১২ জন সুস্থ হয়ে নেগেটিভ হয়েছেন। গতকাল পর্যন্ত মোট ১২ ৭৭ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম আরো জানান, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সরকারি ত্রান ১৯০০ জনকে কলের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ১০৮ টি কওমি মাদ্রাসার তালিকা দিয়েছিলাম। তাদের জন্য ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও আরো ২০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। আমরা এগুলো পর্যায়ক্রমে দিয়ে যাচ্ছি। মোট উপকার ভোগীর সংখ্যা পেয়েছি ১,৭৯,৩২২ জন। তাদের জন্য আমাদের নিজেদের উদ্যোগে আলাদা কার্ড তৈরী করে দিচ্ছি। যে বা যেসকল প্রতিষ্ঠান তাদেরকে সহায়তা দিয়ে আসবে। ওই তালিকায় লিখে আসবে। এতে করে ত্রানের সুষ্ঠু বন্টনও হবে বলে জানান তিনি। কভারেজটাও বাড়বে।
কেউ ত্রানের অপব্যবহার করতে পারবে না। এ জন্য কাউন্সিলর মেম্বারদের একটু আন্তরিক হয়ে কাজ করতে আহবান জানান তিনি। তবে চেয়ারম্যানদেরকে বলেন নি। কোন এক চেয়ারম্যান করোনার ভয়ে ঢাকায় গিয়ে বসে আসছেন বলেও নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক।এছাড়া লক ডাউন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ পর্যন্ত ৪৩০ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১০৭১ টি মামলায় ১০৯০ জন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩৪,৩১,৬০৫ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ২০ জনকে বিনাশ্রম কারান্ড প্রদান করা হয়েছে। সভায় জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।