কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন নেত্রকোনা) :
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নেত্রকোনায় লকডাউন পরিস্থিতেসাধারন মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি ও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরন পৌছে দেয়া অব্যাহ রেখেছে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন। করোনা সঙ্কটে এ পর্যন্ত জেলার প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিতে পেরেছেন বলে জানান নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম।
এ ছাড়াও ভিজিএফ, ভিজিডিসহ সরকারের চলমান দরিদ্র মানুষের সহায়তা কর্মসূচী মিলে দেড় লাখেরও বেশী মানুষ খাদ্য সহায়তার আওতায় এসেছে। এ পর্যন্ত ১৫শ মেট্রিক টন চাল ও প্রায় ৮১ লক্ষ টাকার বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তেল, লবন, ডাল, সাবান ইত্যাদি বিতরন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত বরাদ্ধ রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক।
এদিকে ৩৩৩ ফোন করলেই খাদ্য সহায়তা পৌছে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। প্রতিদিন নেত্রকোনার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় কয়েক শতাধিক নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছ থেকে ফোন আসছে জেলা প্রশাসনের হটলাইন ও ৩৩৩ নাম্বারে। খাদ্য সহায়তা চাওয়ার ১ ঘন্টার মধ্যেই জেলা প্রশাসনের বিশেষ টিম পৌছে দিচ্ছে ত্রাণ সহায়তা। ঘরে বসে ত্রাণ পাওয়ায় খুশি হচ্ছেন উপকারভোগীরা।
এমনই একজন নেত্রকোনা পৌর শহরের রেলক্রসিং এলাকার ভাড়াটিয়া সোহেল তালুকদার। বাড়ি জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় হলেও ভাড়া বাসায় থেকে টিউশনি করে সংসার চালান। কিন্তু করোনায় লকডাউন পরিস্থিতিতে পরিবার নিয়ে চরম সমস্যায় দিন পার করছিলেন তিনি। তাই লজ্জা ভেঙ্গে ফোন করেন ৩৩৩ নম্বরে। বিকেলেই তার নাম্বারে ফোন করে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাজির হন সদর উপজেলার ভূমি কমিশনার (এসি ল্যান্ড) বুলবুল আহমেদ। এ সময় ঘরে খাদ্য পৌছে যাওয়ায় অনেকটাই হতবাক ও আনন্দিত হন সোহেল তালুকদার।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা ভূমি কমিশনার বুলবুল আহমেদ জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিতে কাজ করছে বেশকটি টিম। মূলত যাদের লাইনে দাড়িয়ে খাদ্য সহায়তা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না এমন পরিবারের কাছ থেকে প্রতিদিনই প্রায় শতাধিক ফোন আসছে ৩৩৩ ও জেলা প্রশাসনের হটলাইন নম্বরে। ফোন পাওয়ার সাথে সাথেই তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেয়া হচ্ছে। সেইসাথে অনেকেই কৌতুহল বসত ফোন দেয়ায় সহায়তা প্রদানে কিছুটা বিড়ম্বনায় পরতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।