একসাথেই কি ৩১জন আক্রান্ত হয়েছিল ইসকন মন্দিরে? কেন এই তথ্য গোপন? “

Date:

Share post:

 

রিপোর্টঃ আসমা উল হুসনা

অগ্রযাত্রা’য় সংবাদ প্রকাশের পর ইসকন মন্দির আটকে দিলো পুলিশ
পুরাণ ঢাকার স্বামীবাগে অবস্থিত ইসকন মন্দিরের আশ্রমে ৩১ জন করোনা পজিটিভ এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহে গেলে দেখা যায় আশ্রমটি লকডাউন করা হলেও তার ভেতরে কাচামাল নিয়ে সুরক্ষা ছাড়াই প্রবেশ করছেন শ্রমিকরা। এছাড়া করোনা ঝূকিতে থাকা মন্দিরের ভেতরের লোকজন অনায়াসে বাইরে আসা যাওয়া করছে এমন অভিযোগেরও প্রমাণ মেলে।

বিষয়টি নিয়ে “ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষের এ কেমন লকডাউন” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে অগ্রযাত্রা। বিষয়টি নজরে আসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার-হান্নানুল ইসলামের। তাৎক্ষণিক তিনি ইসকন মন্দির থেকে যেনো কেও কোন বাহানায় বের না হন এবং লকডাউন যেনো যথাযথভাবে পালন হয় সে ব্যবস্থা নেন। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়-

কাচামাল নিয়ে বাইরের কোন ভ্যান যাতে ভেতরে ঢুকতে না পারে সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকেই সুরক্ষা বজায় রেখে ইসকনের এ আশ্রমকে কাঁচামাল সরবরাহ করা হবে।
সেই সাথে লকডাউনকৃত আশ্রমের ভেতরের কেউ যেনো বাইরে বের হতে না পারেন সেজন্য কড়া নজরদারিও করবে পুলিশ।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার হান্নানুল ইসলাম অগ্রযাত্রাকে বলেন- আশ্রমের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে আমাদের পুলিশ সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন। তাই সাময়িক সময়ের জন্য মন্দিরের লকডাউন আমরা নজরদারি করতে পারি নি। হয়তো এই সময়ের মধ্যেই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মন্দির কর্তৃপক্ষ লকডাউন অমান্য করেছে। কিন্ত এমন সংবাদ পেয়ে আমি নিজে গিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়েছি। তারাও কথা দিয়েছে লকডাউন অমান্যের মতন ঘটনা আর ঘটবে না। সেখানে আমাদের পুলিশ সদস্যরা টহলও বাড়িয়ে দিয়েছে। সেইসাথে আমরা তাদেরকে খাদ্য সরবরাহ করবো যাতে কোন কারণেই তাদের বাইরে আসতে না হয়৷

তিনি আরো জানান,,ভেতরে আরো ৩০০-৪০০ লোক আছেন। তাদের সুরক্ষার বিষয়টিও আমরা ভাবছি।

কি ঘটেছিল…….?

২৫শে এপ্রিলেই গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ স্বামীবাগের ইসকন মন্দির লকডাউন করে দিয়ে যায় কিন্তু তারও প্রায় একমাস আগে ২৬ শে মারচ থেকেই সদাই সরব ইসকন মন্দিরে যেন লক ডাউন লক ডাউন চলছিল নিজেদের মধ্যে কেমন একটা আড়াল আড়াল ভাব যা এলাকা বাসীর চোখও এড়ায়নি এবং এলাকা বাসীর কথা অনুযায়ী ২৫-২৬ মারচ তারিখেই লাল সাদা ব্যানারে ইসকন মন্দির লক ডাউন’ এই মরমে নিজেদের সদর ফটকে একটি ব্যানার টানিয়ে দেন তারা তবে পরে সেটা নামিয়ে নেয়া হয়।

এবং ২৫ শে এপ্রিল গতকাল পুলিশ এসে অফিসিয়ালি লক ডাউন গেটে লাগিয়ে দিতেই আর চাপা থাকেনি কিছু – জানাজানি হয়ে যায় সরব চলমান থাকা ইসকন মন্দিরর ভেতরেই আক্রান্ত অবস্থায় অবস্থান করছেন প্রায় ৪৫-৪৮ জন কভিড -১৯/পজেটিভ রোগী। পরে গেন্ডারিয়া থানার দায়িত্বরত অফিসার আরিফুল ইসলাম তার কাছে থাকা তালিকা অনুযায়ী মুঠোফোনে তিনি আশ্রমে মোট ৩১ জন করোনা ভাইরাস পজেটিভ বলে জানান।

কিন্তু একসাথে ৩১ জন করোনা পজেটিভ কিভাবে হলো বা ভেতর কতজন আছেন এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি তা বিস্তারিত জানাতে পারেন নি। এবং আশ্রমে থাকা সেবায়েত যারা রয়েছেন মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি। কিন্তু ঘটনার এখানেই শেষ না শুরু এই নিয়েই আতংক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায় কারণ এই মন্দিরের ভেতরে ভক্তদের আসা যাওয়ার সংখ্যা নেহায়েতই কম নয় তাছাড়া এই মন্দিরের ভেতরে চালু ছিল ফাস্টফুড, গ্রোসারি শপ যেখানে থেকে বানানো সয়াবিন পুজো-আচ্চায় ব্যাবহার হয় এমন কাচা পণ্যও বানানো হতো যা বাইরের দোকান গুলোতে এবং মন্দির সংলগ্ন বাসা বাড়িতে বেচাকেনা হতো – এবং এখনো ওই মন্দিরের ভেতর থেকে লোকজন বাইরে আসার চাক্ষুষ প্রমাণ মিলেছে এবং সকাল বিকাল ভ্যানে করে সব্জি এবং নিত্য পণ্য দ্রবাদি সরবরাহ চলছে এমনকি আজ সরেজমিনে গিয়ে মিলেছে এলাকা বাসীর কথার সত্যতার প্রমাণ- বেলা আড়াইটার দিকে দুই একটি বস্তাসহ একটা ভ্যান আশ্রমে প্রবেশ করে এবং মিনিট বিশেক পর বাইরে এলে তাদের কাছে জানা যায় তারা দোলাইড়পাড় একটা দোকান থেকে ডাল জাতীয় সামগ্রী নিয়ে এসেছে এবং সেই দোকানে সঞ্জিত নামে একজনের সাথে ভ্যান চালকের মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানা যায় সঞ্জিত জানেন না এখানে করোনা পজেটিভ রোগী আছেন।

ওই ভ্যান চালক এবং তার সাথে থাকা অন্য ব্যাক্তিও জানেন না আশ্রমে করোনা রোগী আছেন এবং জানলে তারা আসতেন না এবং তাদের আশ্রম থেকে আনন্দ নামে একজন ফোনের মাধ্যমে পণ্যাদির অর্ডার দেন কিন্তু জনাব আনন্দ তাদেরকে বিষয় টা গোপন করেছেন। এই বিষয় জনাব আনন্দের কাছে বিষয় টি মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান আসলে বৃষ্টির কারণে বাইরে থেকে ভ্যান ঢোকানো হয়েছে -কিন্ত লক ডাউন চলাকালেও পুলিশী অর্ডার উপেক্ষা করে কোন সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই তারা সব্জি ডালের ভ্যান সহ মানুষ ভেতরে কেন ঢোকাছছেন এ বিষয় কথা বলতে চাইলে তিনি আশ্রমের গেটে থাকা নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন যেই নম্বর গুলো অকার্যকর বলছে বার বার এমন কি আশ্রমে কিভাবে একসাথে এতোগুলা লোক আক্রান্ত হয়েছেন এবং বাকিরা কি অবস্থায় আছেন – এবিষয়ে জানতে বার বার ফোন করেও পাওয়া যায়নি আশ্রমের প্রভু নামে আরেক সেবায়েত কে। এরই মধ্যে ইসকন মন্দিরের দায়িত্বে থাকা একজন পুলিশ সদস্য করোনা পজেটিভ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং আরও পুলিশ সদস্য আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা হবে বলে জানা গেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

Related articles

মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের মৃতদেহ ভাসল ২ দিন পর

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ আদিবাসী যুবক রুয়েল রিছিল (২৮) এর মৃতদেহ...

নেত্রকোনা সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনা সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মারুফ হাসান খান অভ্রকে (৫৫) ঢাকা (রাজধানী) থেকে গ্রেফতার করা...

দুর্গাপুরে পানিতে ডুবে এক বৃদ্ধের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় পানিতে ডুবে রুসমত খান (৬০) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গত সোমবার (০৭...

শহীদ আবরার ফাহাদ স্মরণে পূর্বধলায় মৌন মিছিল

মোঃ জুবায়েদ হোসেন বাচ্চুঃ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে নির্যাতনে নিহত শহীদ আবরার ফাহাদের ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মিছিল ও স্মরণ...