কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (নেত্রকোনা) :
করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের জানাজা ও লাশ দাফন কার্য সম্পাদনে পরিবারের লোকজন সহ কেউ এগিয়ে আসেন না। ঠিক এমন সময়ে আলেম ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে তাকওয়া ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী দল এ কাজটি করতে স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছেন।
নোবেল করোনা-১৯ এই মহামারিতে “মানবতার কল্যানে আমরা” এই প্রতিপ্যাকে সামনে রেখে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ ও বারহাট্টা উপজেলার ১০ জন স্বেচ্ছাসেবীর সমন্বয়ে ‘তাকওয়া ফাউন্ডেশন’। এদিকে আলেম ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়া একঝাক তরুন সেচ্ছসেবীর খবর পেয়ে মোহনগঞ্জ-বারহাট্টা উপজেলার প্রশাসন ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় বুধবার বিকেলে আলোকদিয়া দারুল উলুম মাদরাসার একটি কক্ষে তাকওয়া ফাউন্ডেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে হাফেজ মাওলানা ইলিয়াস আহম্মেদকে জিম্মাদার করে ১০জন সেচ্ছাসেবী এ সংগঠনে যুক্ত হয়েছেন।
সংগঠনে সেচ্ছাসেবীরা হলেন, বারহাট্টা উপজেলার হাফেজ মাওলানা ইলিয়াস আহম্মেদ, মুফতি জিয়াউর রহমান, ক্বারী সা’দ হাসান, । আর মোহনগঞ্জ উপজেলার হাফেজ নাজিম উদ্দিন, মাওলানা শুয়াইব বিন মুজিব, মুফতি নুরুজ্জামান, হাফেজ আব্দুল কাদির, হাফেজ ইলিয়াস জনি ও মো. মাসুদ রানা।
তাকওয়া ফাউন্ডেশনের জিম্মাদার হাফেজ মাওলানা ইলিয়াস আহম্মেদ বলেন, মোহনগঞ্জ ও বারহাট্টা উপজেলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে যদি কোনো নর-নারী ইন্তেকাল করেন। তখন খবর দিলে আমরা মৃতের জানাজা ও দাফন কার্য সম্পন্নে ব্যবস্থা করব–ইনশাল্লাহ।
এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ উপজেলার ইউএনও আরিফুজ্জামান বলেন, তাকওয়া ফাউন্ডেশনের একটি দল বৃহস্পতিবার সকালে সাক্ষাত করেছে। তারা স্বেচ্ছায় করোনায় মৃতের জানাজা ও দাফনের কাজটি করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। তাদের এ উদ্যেগকে সাধুবাদ জানাই। প্রয়োজনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি তাদের সাহায্য নেয়া হবে বলে তিনি জানান।