স্টাফ রিপোর্টার : প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে মল্লিকা খাতুন। তার সামনে দিয়ে কত ত্রান এলো অার গেলো,কিন্তু তার কপালে এক মুঠো চাল জুটলো না।
কাঠগোলা পুরাতন মসজিদের পিছনে মধু ড্রাইভারের বাড়ীতে দিনমজুর মোঃ কালামের বউ হয়ে ২৮ বছর অাগে এসেছিলেন মল্লিকা। স্বামী কালামের বয়স ৬৫/৭০এর মত। কখনো দিনমজুর অাবার কখনো ভ্যানগাড়ী চালাতেন।
২৬ মার্চের পর দিনমজুরের কাজ নেই। ভ্যান গাড়ী ও চালাতে পারছে না। দুই ছেলের একজন প্রতিবন্ধী। নাম শরীফ।অারেক ছেলে অারিফ। সে মলম গাড়ী চালায়। করোনা অাতংকে তার মলম গাড়ীও বন্ধ। প্রতিবন্ধী শরীফের মাঝে মধ্যে তার বাবার ভ্যান গাড়ী চালাতো। প্রশাসন কঠোর হওয়ায় ভ্যান গাড়ী চালাতে পারছে না।
তার মা মল্লিকা অাশেপাশের বাসা বাড়ীতে ঝি এর কাজ করে। করোনা অাতংকে সেই ঝি এর কাজও বন্ধ। এই দূর্দিনে কেউ তাকে একমুঠ চাল দিয়ে সাহায্য না করায় অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছে।
সিটি করপোরেশনের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। স্থানীয় কাউন্সিলার অাসাদুজ্জামান বাবু ১৫ দিন অাগে তার কাছ থেকে ভোটার অাইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়েছি্লেন ত্রান দিবেন বলে। অনেক ঘোরাঘুরি করেও কাউন্সিলারের কাছ থেকে একমুঠো চাল পাননি। সরকার নাকি ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিবে। কই, কেউ অামার খোঁজ নেয়নি। প্রতিবন্ধী ছেলে, অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে অামি কোন ত্রান অাজো পেলাম না।
১নংওয়ার্ডের কাউন্সিলার ভোটার অাইডি কার্ডের ফটোকপি নিলো। ২/৩ বার এলাকায় ত্রান দিলো, অামার ভাগ্যে একমুঠো চাল কেন জুটলো না। এভাবে অার ক’দিন চললে অামাকে প্রতিবন্ধী ছেলে, অসুস্থ স্বামী সহ না খেয়ে মরতে হবে।