সাইফুল আরিফ জুয়েল, মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা): নেত্রকোনার সবচেয়ে বড় হাওর ডিঙ্গাপোতায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ নিয়ে কৃষকের মনে খুশির জোয়ার। তবে আগাম বন্যার পূর্বাভাসের খবরে দেখা দিয়েছে ভয়ের রেখা।
সোনা ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে দেয়া যাবে না। কৃষকের হাসি যেন ম্লান না হয়ে যায়। এমন প্রতিজ্ঞায় হাওরে ধান কাটতে মাঠে নেমেছে কিশোর-তরুণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিশু ছায়া’র মোহনগঞ্জ টিমের সদস্যরা।
তাদের এ কার্যক্রমে উৎসাহ ও সার্বিক সহযোগীতা করেন মোহনগঞ্জ থানা পুলিশ। মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুল আহাদ খান তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের কৃষকের ধান কেটে দিয়ে সহযোগীতার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করেন ও যাতায়তের জন্য তাদের পরিবহনের ব্যবস্থা করেন।
মঙ্গলবার শিশু ছায়া’র ১৫ জন, সূর্যমুখী থিয়েটারের বেশ কয়েকজন ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী মিলে মোট ২৭ জনের এ দলটি ধান কাটতে মাঠে নামে। এ সময় সার্কেল অফিসার সাঈদুর রাহমান ও ওসি মা. আবদুল আহাদ খান মাঠে তাদের দেখতে যান। অনুপ্রেরণার পাশাপাশি সচেতনতামূলক বিভিন্ন পরামর্ম দেন।
শিশু ছায়া’র সদস্যরা হাওরে তেতুলিয়া গ্রামের জাকির হোসেন নামে এক কৃষকের পাঁচ কাটা জমির ধান কাটে। পরে সেগুলো বয়ে এনে উঁচু জায়গায় জমা করে দেয়। শিক্ষার্থীদের পাশে পেয়ে তাদের এমন সহযোগীতায় মুগ্ধ কৃষক জাকির। জাকির জানায়, মনের জোর শতগুণ বেড়ে গেল।
শিশু ছায়ার অন্যতম সদস্য আলী মাহমুদ, রফিক ও রনি জানায়, কৃষকের ধান কেটে দিয়ে সহায়তা করতে পেরে খুব খুশি লাগছে। কাল আবারও সবাই মিলে ধান কাটতে আসবো।