স্টাফ রিপোর্টারঃ
জেলা পুলিশের সহায়তায় ময়মনসিংহে স্বাচিপের ফ্রি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রয়েছে। ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন এই শোগানকে সামনে রেখে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকালীন সময়ে নিজ ঘরে অবস্থান করা মানুষদের হাতের নাগালে (কাছে) চিকিৎসা সেবা দিতে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের কর্ণধার পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের সহায়তায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ গত ১৩ এপ্রিল ময়মনসিংহে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবা চালু উদ্বোধন করা হয়। বিভাগীয় নগরীর পাটগুদাম মোড় ও খাগডহরে পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের পে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুল ইসলাম এই চিকিৎসা সেবা উদ্বোধন করেন। স্বাধীনতা চিকিৎসক স্বাচিপ করোনাকালীন সময়ের কো-অর্ডিরেটর ডাঃ এইচ এ গোলন্দাজ তারা, ডাঃ মহিউদ্দিন খান মুন, ডাঃ সোহেল আল মোজাহিদ, ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন, ডাঃ আসিফ মোঃ ইমরান খান, ডাঃ দেবাশীষ বিশ্বাস, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি শাহ কামাল আকন্দ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সোমবার ময়মনসিংহ সিটির রেলওয়ে স্টেশন কৃষ্ণচুড়া চত্বরে এই ফ্রি চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন ডাঃ মহিউদ্দিন খান মুন। এ সময় ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালের এমআই হিউম্যান প্রান্ত রায়, ডিবি পুলিশের এস আই শরীফ হায়দার, জিয়াউল হক ও বাবুল মিয়াসহ ১নং ফাঁড়ি পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী একটি একটি মহামারি। ভাইরাস জনিত এই রোগে বিশ্ব সারা পৃথিবী কাপছে। সৃষ্টি হয়েছে মহাদুর্যোগ। শত কোটি মানুষ চরম দুর্যোগের মধ্যে পড়েছে। এক অপরকে দূরে ঠেলে দিয়ে মানুষ মানুষের কাছ থেকে এড়িয়ে চলার চেস্টা করছে। যেন নিজ গৃহে পরবাসী। মানবতা হয়ে দাড়িয়েছে ক্রমান্বয়ে প্রখর। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রতিরোধ যুদ্ধে নেমেছে পুরো বিশ্ব। বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে দৈনন্দিন জীবন যাপন। বাংলাদেশও এই যুদ্ধ থেকে পিছিয়ে নেই।
সাধারণ ছুটিতে দোকানপাঠ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সড়ক, মহাসড়কে যানবাহন বন্ধ রাখতে সরকারের উচ্চ পর্যায় নির্দেশনাজারি রয়েছে। সন্ধ্যা থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত কাউকে ঘর থেকে বের না হতে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ময়মনসিংহে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ, ডিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনী দিনরাত টহল দিয়ে আসছে। বিভাগীয় নগীরতে সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ হয়ে আছে। সরকারি নির্দেশনায় মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। অনেকেই নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ঘরেই আটকা পড়ে আছে।
এ অবস্থায় মানবিকতার পরিচয়ে আলোচিত ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান উদ্যোগ নেন, ঘরে আটকা থাকা অসহায় মানুষজন, যারা কর্মহীন অবস্থায় অনেকটা অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না, তাদের ঘরের কাছে হাতের নাগালে চিকিৎসা সেবা পৌছে দিতে। এই মহত উদ্যোগে সারা দেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ স্বাচিপ।
২০ এপ্রিল সোমবার রেলওয়ে স্টেশন কৃষ্ণচুড়া চত্বরে অসহায়, নিম্ন আয়ের মানুষ, ছিন্নমূল ও ভাসমানসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার প্রায় শতাধিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। পরে এই সকল রোগীদেরকে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের প থেকে ওষুধ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। পুলিশ লাইন্স হাসপাতালের এমআই হিউম্যান প্রান্ত রায় প্রত্যেক রোগীর চিকিৎসাপত্র দেখে তাদের মাঝে ওষুধ বিতরণ করেন। এ প্রসঙ্গে ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের মানবিকতায় এই ফ্রি চিকিৎসাসেবা এবং ওষুধ বিতরণ চলছে। গত ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পর্যায়ক্রমে এই ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে। যতদিন এই দুর্যোগ থাকবে ততদিনই এই চিকিৎসা চালু রাখার চেষ্ঠা রয়েছে। পুলিশ সুপারের বরাত দিয়ে ডিবির ওসি আরো বলেন, যত টাকার ওষুধ প্রয়োজন হউক না কেন মানিবক পুলিশ সুপার তার ব্যবস্থা করবেন। এ জন্য তিনি নগরবাসির সহযোগীতা কামনা করেছেন।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের সহায়তায় স্বাচিপের ফ্রি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাসেবা ও বিনামুল্যে ওষুধ বিতরণ অব্যাহত
জেলা পুলিশের সহায়তায় ময়মনসিংহে স্বাচিপের ফ্রি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রয়েছে। ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন এই শোগানকে সামনে রেখে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকালীন সময়ে নিজ ঘরে অবস্থান করা মানুষদের হাতের নাগালে (কাছে) চিকিৎসা সেবা দিতে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের কর্ণধার পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের সহায়তায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ গত ১৩ এপ্রিল ময়মনসিংহে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবা চালু উদ্বোধন করা হয়। বিভাগীয় নগরীর পাটগুদাম মোড় ও খাগডহরে পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের পে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুল ইসলাম এই চিকিৎসা সেবা উদ্বোধন করেন। স্বাধীনতা চিকিৎসক স্বাচিপ করোনাকালীন সময়ের কো-অর্ডিরেটর ডাঃ এইচ এ গোলন্দাজ তারা, ডাঃ মহিউদ্দিন খান মুন, ডাঃ সোহেল আল মোজাহিদ, ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন, ডাঃ আসিফ মোঃ ইমরান খান, ডাঃ দেবাশীষ বিশ্বাস, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি শাহ কামাল আকন্দ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সোমবার ময়মনসিংহ সিটির রেলওয়ে স্টেশন কৃষ্ণচুড়া চত্বরে এই ফ্রি চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন ডাঃ মহিউদ্দিন খান মুন। এ সময় ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালের এমআই হিউম্যান প্রান্ত রায়, ডিবি পুলিশের এস আই শরীফ হায়দার, জিয়াউল হক ও বাবুল মিয়াসহ ১নং ফাঁড়ি পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী একটি একটি মহামারি। ভাইরাস জনিত এই রোগে বিশ্ব সারা পৃথিবী কাপছে। সৃষ্টি হয়েছে মহাদুর্যোগ। শত কোটি মানুষ চরম দুর্যোগের মধ্যে পড়েছে। এক অপরকে দূরে ঠেলে দিয়ে মানুষ মানুষের কাছ থেকে এড়িয়ে চলার চেস্টা করছে। যেন নিজ গৃহে পরবাসী। মানবতা হয়ে দাড়িয়েছে ক্রমান্বয়ে প্রখর। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রতিরোধ যুদ্ধে নেমেছে পুরো বিশ্ব। বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে দৈনন্দিন জীবন যাপন। বাংলাদেশও এই যুদ্ধ থেকে পিছিয়ে নেই।
সাধারণ ছুটিতে দোকানপাঠ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সড়ক, মহাসড়কে যানবাহন বন্ধ রাখতে সরকারের উচ্চ পর্যায় নির্দেশনাজারি রয়েছে। সন্ধ্যা থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত কাউকে ঘর থেকে বের না হতে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ময়মনসিংহে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ, ডিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনী দিনরাত টহল দিয়ে আসছে। বিভাগীয় নগীরতে সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ হয়ে আছে। সরকারি নির্দেশনায় মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। অনেকেই নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ঘরেই আটকা পড়ে আছে।
এ অবস্থায় মানবিকতার পরিচয়ে আলোচিত ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান উদ্যোগ নেন, ঘরে আটকা থাকা অসহায় মানুষজন, যারা কর্মহীন অবস্থায় অনেকটা অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না, তাদের ঘরের কাছে হাতের নাগালে চিকিৎসা সেবা পৌছে দিতে। এই মহত উদ্যোগে সারা দেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ স্বাচিপ।
২০ এপ্রিল সোমবার রেলওয়ে স্টেশন কৃষ্ণচুড়া চত্বরে অসহায়, নিম্ন আয়ের মানুষ, ছিন্নমূল ও ভাসমানসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার প্রায় শতাধিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। পরে এই সকল রোগীদেরকে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের প থেকে ওষুধ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। পুলিশ লাইন্স হাসপাতালের এমআই হিউম্যান প্রান্ত রায় প্রত্যেক রোগীর চিকিৎসাপত্র দেখে তাদের মাঝে ওষুধ বিতরণ করেন। এ প্রসঙ্গে ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের মানবিকতায় এই ফ্রি চিকিৎসাসেবা এবং ওষুধ বিতরণ চলছে। গত ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পর্যায়ক্রমে এই ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে। যতদিন এই দুর্যোগ থাকবে ততদিনই এই চিকিৎসা চালু রাখার চেষ্ঠা রয়েছে। পুলিশ সুপারের বরাত দিয়ে ডিবির ওসি আরো বলেন, যত টাকার ওষুধ প্রয়োজন হউক না কেন মানিবক পুলিশ সুপার তার ব্যবস্থা করবেন। এ জন্য তিনি নগরবাসির সহযোগীতা কামনা করেছেন।