স্টাফ রিপোর্টারঃ
অবশেষে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের দ্বন্ধের অবসান হলো। আজ দুপুরে জেলা পরিষদের সন্মেলন কক্ষে এক সংবাদ ২০ সদস্যর মাঝে তাদের এলাকার জন্য প্রতিজন দেড়লক্ষ টাকা করে পেয়েছেন। এই টাকা এলাকার দরিদ্র ও অনাহারে থাকা মানুষের মাঝে বিলি করা হবে।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন নাসরিন,প্যানেল চেয়ারম্যান আলহ্বাজ মমতাজ উদ্দিন মন্তা’র উপস্থিতিতে ২০ জন সদস্যকে ৩০ লাখ টাকা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান ৫ লাখ টাকা নগদ বুঝে নেন। সদস্য ও চেয়ারম্যান তার এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে মাষ্টার রোল করে বিতরন করবেন। সংরক্ষিত ৫ জন মহিলা সদস্যরাও দেড় লাখ টাকা করে পেয়েছেন।
তাদের টাকা তার মূল এলাকায় দেড় লাখ টাকার মধ্যে অর্ধেক, বাকী টাকা আর আরো দুটো এলাকায় ইউএনও নজরে এনে নগদ বিতরন করবেন।কোন অসহায় মানুষ যেন ত্রান থেকে বাদ না পড়ে সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য সদস্যদের প্রতি অনুরোধ করেন।
যারা টাকা পেয়েছেন তারা হলেন চেয়ানম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান ৫ লাখ টাকা, প্যানেল চেয়ারম্যান ১ মমতাজ উদ্দিন মন্তা দেড় লাখ, প্যানেল চেয়ারম্যান ২ মাঃ আব্দুল খালেক দেড় লাখ টাকা, প্যানেল চেয়ারম্যান ৩ ফারজানা শারমিন দেড় লাখ, ও প্যানেল চেয়ারম্যান মহমুদ হক সায়েম দেড় লাখটাকা, সদস্যরা হলেন, আছমা উল হোছনা দেড় লাখ, আজুনা কবীর দেড় লাখ, দিলরুবা আক্তার দেড় লাখ, আঞ্জুমান আরা দেড় লাখ, কবিরুল ইসলাম দেড়লাখ,মোঃ আসাদুজাজামান আকন্দ সাগর দেড় লাখ,মোঃ মোজাম্মেল হক দেড় লাখ, এইচ এম খায়রুল বাসার দেড় লাখ, বেগম জোসনারা মুক্তি দেড়লাখ, তাজুল ইসলাম বাবুল দেড় লাখ,মোঃ রুহুল আমীন দেড় লাখ, মোঃ আবদুল্রা আল মামুন দেড় লাখ, মোঃ একরাম হোসেন দেড় লাখ , মোঃ আবু বকর সিদ্দিক দেড়লাখ, এস এম মুজিবুর রহমান দেড় লাখ, মোঃ মহিবুল হক দেড় লাখ ও মোস্তফা কামাল দেড় লাখ টাকা।
সংবাদ সন্মেলনে গত ৪ এপ্রিল প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন নাসরিনের বিরুদ্ধে নিম্নমানের সাবান,মাক্স ও জালি দেয়ার অভিযোগ বিষয়য়ে জানতে চাইলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান ও প্যানেল চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন মন্তা বিষয়টির মিমাংসা হয়েছে বলে জানান। এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন নাসরিন এ প্রতিনিধিকে নিজ দপ্তরে নিয়ে দেখান স্যাভলন সাবান,তিব্বত বল সাবান ও জালি। যা নিম্নমানের নয়।তবে একটি সুত্র জানায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন নাসরিন সৎ ও নিজ দায়িত্বের প্রতি সচেতন বলে অনেকে তার উপর ক্ষুব্ধ।
তবে আজ রবিবার যে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নগদ অর্থ বিলি করা হয় – সে সময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তবে গত ৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে বানোয়াট ছিল, সেটা আজকের অনুষ্ঠানে প্রমান হলো।