শিমুল শাখাওয়াতঃ
ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়া নয়াপাড়া এলাকায় করোনা আক্রান্ত ‘ডাঃ হামিদা আক্তার সেঁওতি’-র ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেয়া।তার আবেগঘন স্ট্যটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো…
“সবাই বলছে কাউকে বলো না।
কেন বলব না??আমি তো কোনো দোষ করি নাই।আমি আপনাদের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছি।লকডাউনে যখন আপনারা বাড়িতে বসে সময় কিভাবে কাটাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন তখন আমি হয়তো কোনো কোভিড ১৯ পজিটিভ ব্যাক্তির পাশে দাড়িয়ে ।
হ্যা আমি কোভিড ১৯ পজিটিভ।এতে আমার কোনো লজ্জা বা ভয় বা আফসোস নাই।বরং আমি খুব গর্বিত।কারণ আমি শেষদিন পর্যন্ত কাজ করে এসেছি।এখন যদি মরেও যাই আমার আফসোস থাকবে না।কারণ আমি ডাক্তার হিসেবে যে শপথ নিয়েছিলাম তা পালন করে এসেছি।আমি যতদিন পেরেছি আপনাদের জন্যে হাসপাতালে এবং মাঠে কাজ করেছি।যেদিন আমার মনে হল আমার নিজেরই স্যাম্পল পাঠানো দরকার,আমি সাথে সাথে স্যাম্পল পাঠিয়ে নিজেকে কোয়ারান্টাইনড করেছি।আমার পক্ষে যতদুর সম্ভব মানুষ এড়িয়ে চলেছি।নিজের বাড়িতেও ফিরিনি যেহেতু আমারো পরিবার আছে,বাড়িতে বৃদ্ধ শ্বশুর শ্বাশুড়ি আছেন।তারপরো আজ আমার এলাকার মানুষের কাছে(যে এলাকায় ভাড়া থাকি)যে ব্যবহার পেয়েছি আমি ও আমার স্বামী তা আমি কোনোদিন ভুলব না।
একটা কথা বলে যাই…নগর পুড়লে কি দেবালয় এড়ায়?????
আগামী বছর বেঁচে থাকলে এই স্মৃতি টা ভেসে উঠবে ফেবুর পাতায়।
শুভ নববর্ষ,১৪২৭!সবার মঙ্গল হোক।”
উল্লেখ্য উনি ব্রাহ্মনবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে উনি এবং উনার স্বামী ময়মনসিংহ নগরীর এস.কে হাসপাতালে কোভিড-19 এ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। ডাক্তার হামিদা আক্তার সেঁওতি আপনি আবারো ফিরে আসবেন বীরের মতো দেশবাসীর এই প্রত্যাশা, আপনি একজন সাহসী বীর, স্যালুট আপনাকে শতকোটি।
মহান সৃষ্টিকর্তা যেনো এই ডাক্তার দম্পতিকে সুস্থ করে তুলেন সেই শুভকামনাই করি।