কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (নেত্রকোনা) :
নেত্রকোনা পৌর শহরে করোনা সংক্রমনে কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবারের মাঝে গণজমায়েত করে চাল বিতরনের দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৌর শহরের মোক্তারপাড়া মুক্তমঞ্চ, জয়ের বাজার, অজহর রোড, নেত্রকোনা উচ্চ বিদ্যালয়ে ওএমএসর চাল বিতরনের পরিদর্শন করে কোথাও দেখা যায়নি সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি। প্রতিটি পয়েন্টে ৮০০ কেজি চাল বরদ্দের বিপরীতে চাল সংগ্রহে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। মানুষের চাপায় পড়ে ডিলার নিজে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ডিলার ফয়সাল আহমেদ খান এর উপর। সামাজিক দুরত্বের বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার বলেন বিষয়টি নজরে এসেছে। আগামীকাল থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
সাতপাই এলাকার স্বেচ্ছাসেবক চপল দত্ত বলেন, এখানে অবহেলিত এলাকা দিনমুজুরের সংখ্যাও বেশি। এ ওয়ার্ডে কয়েকটি বস্তি রয়েছে। যেমন সওদাগর পাড়া, উদয়ন রোড, পদ্মপুকুর এলাকায় বস্তিগুলোর অধিকাংশ মানুষ রিকশা, অটো, সিএনজি চালায়। ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা চাল গরীব মানুষদের বাঁচানোর জন্য হয়ে থাকে। তাহলে ২৭৫ জনকে একটি ওয়ার্ডের সরকারের বরাদ্দ দেয়া দরকার তিনি দাবি জানান।
নেত্রকোনা পৌরসভার ২ং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার জাহান চৌধুরী জানান, সরকারের এ উদ্যোগ অত্যন্ত সুন্দর কিন্তু জামেলা হয় বেশি চাপে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। দেখা গেছে ডিলার ওপর অনেক মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে গিয়েছে। পরে ডিলার অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তা পেলে ভাল হয়। একই ব্যক্তি দুইবার তিন বার নিতে থাকে। দেখা গেছে গত বৃস্পতিবার যারা নিয়েছে আজকে তারাই নিয়েছে। এ রকম একটা জটিলতা থাকে। পুলিশ না থাকলে আমরা তো কাউন্সিলার ভোটের জন্য তাদের কাছে যেতে হয় খুব বেশী একটা পরোয়া করে না তারা। সিস্টেম করে দিতে চাই তারা মানতে চায় না। এক্ষেত্রে তিনি পুলিশের সহায়তা কামনা করেন।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে ডিলার ফয়সাল আহমেদ খান বলেন, রেডক্রিসেন্ট, পুলিশ, খাদ্য বিভাগের লোকজন সবাই মিলে চেষ্টা করেছি মানুষদের কথা শুনাতে পারছি না। আমাদের একটাই দোষ আমরা বাঙ্গালী কথা শুনি না। সামাজিক দূরত্ব কোনভাবেই বজায় রাখতে পারছে না ডিলাররা। হ্যান্ড ওয়াশ নিয়ে মানুষদের হাতে পায়ে ধরে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। পরে বরাদ্দ প্রাপ্তির বিষয়ে তিনি বলেন, মোক্তারপাড়া মুক্ত মঞ্চ ও নেত্রকোনা উচ্চ বিদ্যালয় দুটি পয়েন্টে ৮০০ কেজি করে ১৬০০ কেজি চাল বরাদ্দ পেয়েছি।