কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (নেত্রকোনা) :
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ ও আশপাশ থেকে ফেরতদের প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা। শনিবার (১১ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে চন্ডিগর ইউনিয়ন ফুলপুর ও নোয়াগাঁও গ্রামে এক অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার এর নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান, বাজার মনিটরিং ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কঠিনভাবে তদারকি করা হচ্ছে। ওইসব ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। রাতের আঁধারে লোক চক্ষুর অন্তরালে প্রবেশ করছে। প্রবেশ ঠেকাতে মাঠে থাকলেও সচেতনতার সুফল বুঝেও না বুঝার চেষ্টা করছে কতিপয় ব্যক্তিরা। ফলে করোনা আক্রান্তের ভয় ভীতি ও আতঙ্ক নিয়ে রীতিমতো প্রশ্নবিদ্ধ সমাজ।
গত শুক্রবার বিকেলে পুলিশ ও চিকিৎসক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানমের নিদের্শনায় ও ওসি মো. মিজানুর রহমানের পরামর্শক্রমে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে মনিটরিং করেছেন আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান। দিনভর তারা উপজেলায় নব্য প্রবেশকারী ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অসংখ্য বাড়ি তদারকি করেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন কি-না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন কি-না সেসব বিষয়সহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। এছাড়াও চিকিৎসকরা আউটডোর, ইনডোর ও করোনা সন্দেহের রোগীদের নমুনা সংগ্রহ সহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
আবসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহে কাজ করছে। হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত ও সচেতনতা সহায়তা কাজ করা হচ্ছে।
ওসি মিজানুর রহমান বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাব মোকবিলা নিয়ন্ত্রনে মাঠে আছি। বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে পুলিশ শক্ত অবস্থানে থেকে কাজ করছে।
ইউএনও ফারজানা খানম বলেন, করোনা মোকাবিলায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সচেতন মহল, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকদের অংশ গ্রহণে মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। জনসমাগম ঠেকাতে হাট-বাজার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সামজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উপজেলা প্রশাসন জিরো টেলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। কাঁচা বাজার গুলিতে জনসমাগম ঠেকাতে নির্দিষ্ট জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। দূরত্ব বজায় রেখে কেনা কাটা সম্পন্ন করতে নোটিশ করা হয়েছে। মাইকিং এর প্রচারণা অব্যাহত আছে। কর্মহীনদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ চলমান আছে। কেউ যেন না খেয়ে থাকে সে ব্যপারে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করার জন্যও তিনি বলেন।