কিছু কথা : কিছু পথ
প্রসঙ্গ-করোনায় ঘরে🏠 থাকা ও অন্যান্য
রজত কান্তি দেবনাথঃ
প্রথমত আমরা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি এর আগে কখনোই হইনি।
দ্বিতীয়ত সেই যে আমরা দলবদ্ধ হয়ে চলতে শিখেছি এরপর কখনোই আলাদাভাবে বন্দি জীবনের কথা কল্পনাও করিনি। আমরা সামাজিক। সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে থাকায় অভ্যস্ত।
তৃতীয়ত আমরা আবেগপ্রবণ জাতি।
তবে—-
অনেক কঠিন পরিস্থিতিতেও আমরা বাঙালিরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি এ ইতিহাস কারো অজানা নয়। তবে এখন শুধুমাত্র মানুষকে ঘরে রাখতেই কেন ব্যর্থ হচ্ছি আমরা?
কি মনে হয় ? কি করলে পারবো ঘরে🏠 রাখতে?
এক. রাষ্ট্রকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রতিটি নাগরিকের খাবার নিশ্চিত করতে হবে।
দুই. এদেশে যতগুলো রাজনৈতিক দলের প্রধান আছেন তাদের প্রতিটি নেতাকর্মীকে নির্দেশ দিতে হবে যেন জনগণ নিজগৃহে থেকে সুস্থ ও নিরাপদ অনুভব করতে পারেন। ওনারা পদক্ষেপ নিলে মানুষ ঘরে ফিরবে কারণ ওনাদের অনেক অনুসারী আছেন এ দেশে।
তিন. সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন যারা এগিয়ে এসেছেন তাদেরকে পরস্পরের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। সমন্বয়হীন কাজে সফলতা অর্জন করা কঠিন, কিন্তু সময় নষ্ট হবে ঠিকই।
চার. মীরজাফরী বা রাজাকারের মনোভাব পরিহার করতে হবে। যার যেটা প্রাপ্য তার কাছে সেটা পৌঁছে দিতে হবে। অসৎ ভাবনা থেকে সরে আসতে হবে এক্ষুনি। নাহলে সকলের শ্রম, ত্যাগ ব্যর্থ হয়ে যাবে। ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধ্বে উঠে ভাবতে হবে।
পাঁচ. রাষ্ট্রের নির্দেশনা বাস্তবায়নে দলমত, উচু নিচু, ধনী গরীব, মতভিন্নতা ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ভুল ত্রুটি নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে যারা নিরলস শ্রম দিচ্ছেন সকলকে উৎসাহ দিতে হবে।
যদি আমরা একটু মানবিক হই, আমরা খুব শীঘ্রই ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবো। আমরাই পারবো সফলতার ইতিহাস গড়তে। তবে কথায় নয় সকলকেই তা কাজে প্রমাণ দিতে হবে। মনে রাখবেন আপনার জীবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপনার পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও আমাদের কাছে। অন্তত নিজেকে নিরাপদ রাখতে হলেও এই মুহূর্তে ঘরে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনও বিকল্প নেই। অদৃশ্য শত্রুর মোকাবিলা করতে কিছুদিন দৃশ্যমান এই কাজগুলো করা অত্যন্ত জরুরি। একটু অবহেলা আর অসতর্কতা আমাদের জীবনে নিয়ে আসতে পারে অনেক বড় দুঃসংবাদটি। সুতরাং কি করবেন ভাবুন যার যার অবস্থান থেকে। সময় কিন্তু খুবই কম !
(লেখক: থিয়েটার কর্মী ও সম্পাদক-পঙক্তি)