একে এম ফখরুল আলম বাপ্পী চৌধুরীঃ
ফুল ফোটানের মালির অবদান থাকলেও মালির গলায় কখনও মালা জোটে না। তেমনি জীবন সংগ্রাম ফুল বাগানে অতিবাহিত করলেও ফুলের ঘ্রানের চাইতেও বলক ভাতের ঘ্রান অধিক প্রিয় হয়ে উঠে, আলোকিত মানুষ গড়ার পেছনের কারিগরদের। তেমনি সংবাদপত্র তথা রাজনীতি কথিত আলোকিত মানুষের পেছনের গল্প আশিক চৌধুরী।
২ই এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে জীবন মৃত্যুর লড়াইয়ে সকাল ৯ টায় প্রবেশ করেন মৃত্যুর কোলে।
সকাল ৯টা ১০ মিনিট একসাথে অনেক রিং বেজে উঠে আমার মোবাইলগুলোতে, আচমকা শিহরিত হয়ে উঠলো, প্রশ্নের পর প্রশ্ন আসতে লাগলো নিজের অজান্তেই, কিছু হয়েছে কি? দুঃসংবাদ কি? নানা প্রশ্নকে উপেক্ষা করেই মোবাইল রিসিভ করতেই অপর পাশ থেকেই আশিক চৌধুরী নেই । কি বলো ? কিভাবে ? কোথায় তোমরা ? অপরদিক থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩নং ওয়ার্ড, ৩য় তলা।
স্তব্ধ হয়ে গেলাম ! মূহুর্তে সব পাখির সুর যেন থমকে গেল ! মাঝি তার নৌকা থামিয়ে দিল ! গাঙচিল পাড়ে ফিরতে লাগলো ! কৃষানী নববধুর কাজল মূহুর্তে শুকিয়ে গেল ! গ্রামের মেঠু পথে রাখালি বাশিঁর সুর ছন্দে মেতে উঠা গ্রাম্য তরুনীর আলতা রাঙা পায়ের নুপুর যেন হঠাৎ ছিড়ে পড়লো ! দিগন্তে কাশফুলের সাথে বাতাসের দুল খেলা যেন থেমে গেল ! গলি থেকে কুকুরগুলো বেরিয়ে এলো রাজপথে, যেন মিছিল করছে আশিক চৌধুরী মারা যায়নি, অভিমান করেছে ! আমরা এসেছি তোমাদের ধিক্কার জানাতে ! একটি কলম চিৎকার করে বলছে আমাকে ছুঁয়ো না, আজ আমার মাঝে কালি নেই, আছে কান্না জল। কান্না জল দিয়ে কি লেখা যায় ?
তাই তো আমিও আমার প্রিয় বন্ধুটির জন্য কিছু লিখতে পারছি না। কান্নার জলে মুছে যাচ্ছে সব বারবার। এভাবে কি লেখা যায় ? হাজার মানুষের জীবন-মৃত্যুর স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে যে লোকটি শত শত পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠার লিখে গিয়েছেন সারাটি জীবন। তার জীবন-মৃত্যু খবরের স্মৃতি চারণ কিভাবে লিখবো ?
আমি আশিকের জীবন-মৃত্যুর স্মৃতি চারণ করবো আমার লেখনীর মাধ্যমে তা কোন দিনও ভাবি নি আমি। এ যে কতো ভারি, কতো যে কঠিন ভাবা যায় না।
আশিক চৌধুরী’র যে নামটি আমারই দেওয়া। আমিই রেখেছিলাম। মন বার বার পিছু ফিরছে। খঁুজে বেড়াচ্ছে পেছনের হাজারো স্মৃতি। ৮০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মটর সাইকেলের গরম সিলিন্ডার পাইপে পা লেগে অনেকটাই ক্ষত হয়ে যায়। চিকিৎসা করার পরও অনিয়ম, অযত্নে ইনফেকশন হয়ে যায়। ডাক্তাররা বললো পচন ধরেছে। সময়ও চলে যাচ্ছে তখন। ভূ-মন্ডল এর সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামানের সাথে অশিত দাস কেশবের ভাবটা একটু বেশিই ছিল। তার পরামর্শে শম্ভগঞ্জে এনজিও পরিচালিত একটি হাসাপাতালে ভর্তি হন ১৯৯০-৯১ইং এর দিকে। সেখানে হাসপাতালে অশিত দাস কেশবের পাশের অন্য এক রোগিকে দেখতে আসতেন আজকের তামান্না চৌধুরী প্রিয়াংকা।
যেভাবে অশিত দাস কেশব থেকে আজকের আশিক চৌধুরী । প্রিয়াংকাকে বিয়ে করলো আশিক চৌধুরী। মরহুম মওলানা অধ্যক্ষ রুকন উদ্দিন সাহেবের প্রকাশনায় তার ছেলে মোঃ ওয়াহিদুজ্জামানের সম্পাদনায় “দৈনিক ভূ-মন্ডল” ছিল তখন ময়মনসিংহের সবার্ধিক সার্কুলেশন ও জনপ্রিয় পত্রিকা। অশিত দাস কেশব ভূ-মন্ডলের বাতার্ সম্পাদক হিসাবে যোগদান করার আলোচনা যখন চূড়ান্ত, তখন সামনে ঈদ, শম্ভুগঞ্জ হাসপাতাল থেকে অশিত দাস কেশবের একটি চিঠি। শম্ভুগঞ্জের একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে ভূ-মন্ডল অফিসে পাঠালো। তখন আমি ভূ-মন্ডল পত্রিকার সহকারী সম্পাদক।
চিঠিটা হুবহু তুলে ধরা হলো:
“ বস্,
শংঙ্খনীল কারাগার থেকে বলছি।
আশু শুভেচ্ছা।
জরুরি,
স্বাক্ষাতে বিস্তারিত,
হৃদয়গঠিত কিছু।
অতিব আসা জরুরী।
ইতি অপ্রিয় কিছু নয়, সবই প্রিয়
অ-দ-কেশব”
ঈদের দিন নামাজ শেষে ওয়াহেদ ভাই এবং আমি ঈদের খাবারগুলো টিফিন ক্যারিয়ারে নিয়ে শম্ভুগঞ্জ কেশবের শংঙ্খনীল কারাগারে গিয়ে হাজির হলাম। ঈদের কুশলাদি বিনিময় শেষে তিনজন একসাথে সেমাই, পায়েশ খাচ্ছি। ফাঁকে ফাঁকে প্রিয়াংকাকে ইশারায় দেখাচ্ছে কেশব। প্রিয়াংকাও ইশারায় কুশল বিনিময় করলো আমাদের সাথে। ফেরার সময় প্রিয়াংকাকে নিয়ে লেখা একটি কবিতা ধরিয়ে দিল ওয়াহিদ ভাইয়ের হাতে, পত্রিকায় ছাপানোর জন্য। কিছু দিন পর কেশবের ছুটি হলো। ভূ-মন্ডলের বার্তা সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কেশব-প্রিয়াংকার প্রেম যেন গভীর থেকে গভীরে। দীর্ঘদিন প্রেমের পরিনাম, অতঃপর বিয়ে। একটু সমস্যা । প্রিয়াংকা মুসলমান, অশিত দাস কেশব হিন্দু। প্রিয়াংকা তখন বুঝতেন না হিন্দু কি, মুসলমান কি ? অশিত দাস কেশব নিজ থেকে সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি মুসলমান হবেন। এবং প্রিয়াংকাকে বিয়ে করবেন। মুসলমান হওয়ার আয়োজন সম্পন্ন। এখন নাম কি হবে ? তখন আমি বলাম- অশিত থেকে আশিক, বাপ্পী চৌধুরী থেকে চৌধুরী। এই হলো আজকের আশিক চৌধুরী।
আমি তখন বাংলাদেশ জুডো এন্ড কারাতে ফেডারশনের ব্লাক বেল্ট পরীক্ষায় সব সময়ই আমি সবোর্চ্চ নাম্বার পেয়ে ব্লাক বেল্ট হই। শিশুকাল থেকে বাবার কাছ থেকে মার্শাল আর্ট চর্চা শুরু। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে “দৈনিক ভূ-মন্ডল” এর সম্পাদক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান আমার মাশার্ল আর্ট এর শিক্ষা গুরু। ওয়াহিদ ভাইয়ের কলম ও শরীর চর্চা দুইই ছিল ক্ষুরধার ও তীক্ষ্ম। আমি বাংলাদেশ জুডো এন্ড কারাতে ফেডারশনের প্রশিক্ষকের পাশাপাশি জাতীয় শীর্ষ পর্যায়ের বিভিন্ন পত্রিকায় ক্রীড়া সাংবাদিক হিসাবে ঢাকায় কর্মরত ছিলাম। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ৪র্থ তলায় একটি ভিআইপি কক্ষ আমার জন্য বরাদ্দ ছিল। ঢাকা থাকলেও ওয়াহিদ ভাই ও আশিক চৌধুরী সারাক্ষণ আমার অন্তরজুড়ে থাকতো। সময় ও সুযোগ হলেই চলে আসতাম। বাড়িতে না গিয়ে আগে যেতাম ভূ-মন্ডল পত্রিকার অফিসে। ওয়াহিদ ভাই, আশিক চৌধুরী, বাপ্পী চৌধুরী যেন অবিচ্ছিন্ন অংশ হয়ে পড়ে।
সময় পেরিয়ে যাওয়া জীবনের টানে বা গুপ্ত অভিমানে। আশিক চৌধুরী আজকের স্মৃতির বার্তা সম্পাদক হিসাবে যোগদান করেন। আশিকের অভিমান ছিল একটু বেশিই। কিন্তু প্রকাশ করতো না। প্রকাশ পেতো তা পত্রিকা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। একে একে আজকের স্মৃতি, দৈনিক শিপা, ম্যাগাজিন মধ্যরাত, সাপ্তাহিক উজ্জীবন , আজকের খবর, সাপ্তাহিক ব্রহ্মপুত্র।
ঢাকার পত্রিকার মধ্যে দৈনিক সংবাদ, দৈনিক মুক্তকণ্ঠ, দৈনিক আমার দেশ। অবশেষে দৈনিক মাটি ও মানুষ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসাবে ছিল তার স্বাধীন চিন্তা বিকাশের স্বাধীন অবস্থান।
যুক্ত হলো মাটি ও মানুষে আর এক প্রতিভাধর কবি, লেখক, সাংবাদিক স্বাধীন চৌধুরী। সম্পাদক প্রকাশক বাপ্পী চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আশিক চৌধুরী, নির্বাহী সম্পাদক স্বাধীন চৌধুরী। তিন জনের সমন্বয়ে তৈরি হলো মাটি ও মানুষ পরিবার।
প্রতিনিয়তই মাটি ও মানুষ-এ লেখালেখি নিয়ে হতো গভীর চর্চা, অনুশীলন। প্রতিদিনের প্রকাশিত মাটি ও মানুষ যেন একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপ্তি পরীক্ষা। আশিক চৌধুরী বলতেন, ‘একটি লেখা এক হাতে পরিপূর্ণতা আসে না। অবশ্যই সমসাময়িক একাধিক হাতে চিন্তার প্রতিফলন থাকতে হবে। তবেই একটি বাস্তবধর্মী লেখার পূর্ণতা আসে।’ আশিক চৌধুরীর ক্ষুরধার তীক্ষ্ম লেখার সময় স্বাধীন চৌধুরীকে ফোন করে বলতো, স্বাধীন বানানটি বলো। স্বাধীন চৌধুরী মূর্হুতে বলে দিতেন। আশিক চৌধুরী স্বাধীন চৌধুরীকে উপাধি দিয়েছিলো “বাংলা ডিকশনারী”।
আমি কাছে না থাকলেও ফোন করে বলতো, বস্, প্রয়োজন এই, উপকরণ এই, লেখা শেষ, একটু শোনেন। আমি অনেক সময় ব্যস্ত থাকতাম। ব্যস্ততার জন্যে শুনতে চাইতাম না। কখনও বাধ্য হতাম শুনতে। বলতো এডিট করুন। আমি বলতাম চমৎকার হয়েছে। আশিক বলতো একটি লাইন হলেও এডিট করতে হবে। হেডিং কি দিবো বস্ । এ যেন তার আমার সাথে প্রতিদিনের কমন শব্দ বিনিময়। অনেক সময়ই বাধ্য হতাম হেডিং করে দেওয়ার জন্য। আমিও প্রস্তুত থাকতাম সমসাময়িক ঘটনাবলী নিয়ে হেডিং করার জন্য। এভাবে চলতো মাটি ও মানুষ।
মাটি ও মানুষ একটি পত্রিকা ছিল না। ছিল একটি প্রশিক্ষন ইনিস্টিটিউট। তাইতো স্বাধীন চৌধুরী তার লেখনিতে লেখেছে, মাটি ও মানুষ পরিবারটি বেশ বড়। বিভিন্ন সময়ে দক্ষ, অদক্ষ, স্বপ্নবিলাসী জীবন সংগ্রামী কিংবা আত্মপ্রত্যয়ী এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করতো। কাজ শিখতে কেউবা সংবাদ মাধ্যমে যুক্ত হতো তার ইচ্ছাপূরণে। আশিক চৌধুরীর সর্বশেষ ও দীর্ঘসময়ের কর্মস্থল “দৈনিক মাটি ও মানুষ” এ যুক্ত হয়েছিল এক ঝাঁক উদীয়মান প্রতিভাবান তরুণ সাংবাদিক। যারা এখনও সংবাদপত্রের মাঠ দাবিয়ে বেড়াচ্ছে।
এক প্যাকেট সিগারেট, এক কাপ চা, রাত শেষে ভোরে পাঁচশত টাকা ছিল তার চাহিদা। এতটুকু মিটিয়ে প্রতিদিন ১০-১২ জন সাংবাদিক তাদের নিউজ তৈরির কাজটি সারাতেন আশিক চৌধুরীর মাধ্যমে। আজ অনেকেই বিখ্যাত সাংবাদিক, নেতা বনে গেছেন। যাদের বেশি ভাগরা জেনেও আশিক চৌধুরী’র জানাজায় পর্যন্ত আসেননি।
অনেক চাপা স্বভাবের কারণে ব্যক্তিগত জীবন থেকে সকলকে সরিয়ে রাখতো, বুঝতেও দিতো না তার অর্থের অভাব। যে অভাব কুড়ে কুড়ে গ্রাস করে মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে গেছে তাকে। যাদের জন্য করেছে অনেক, তারা পাশে দাড়ায় নি।
এক আশিক চৌধুরী অনেক আশিক চৌধুরী তৈরি করে গেছে মাটি ও মানুষের মাধ্যমে।
কেউ থেমে যাবে না। শোককে শক্তিতে পরিণত করে- “কলম চলবেই ……, আশিক চৌধুরী’র আদর্শিক কলম। ”
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ভরে স্মরণ করছি সাংবাদিক আশিক চৌধুরীসহ ময়মনসিংহের সংবাদ জগতের নক্ষত্রদের। যাঁরা চলে গেছেন সময়ে অসময়ে। আজ স্মরণ করছি তাদের। যারা রেখে গেছেন অনেক অবদান। যাদের দিক নির্দেশনায় আজকের ময়মনসিংহ সংবাদপত্র মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলেন: সংবাদকর্মী চন্দ্র কুমার দে, ময়মনসিংহের সম্পাদক ও সাংবাদিক কেদার নাথ মজুমদার, চারুমিহির পত্রিকার সম্পাদক মাখন লাল লাহিড়ী, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মজিবুর রহমান ফুলপরী (সম্পাদক চাষী), এস এম হাবিবুল্লাহ, তকবীর সম্পাদক আজিজুর রহমান, দৈনিক জাহানের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হাবিবুর রহমান শেখ, দৈনিক ভূ-মন্ডলের প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক ও সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি অধ্যক্ষ মওলানা রুকন উদ্দিন, আজকের স্মৃতি ও দৈনিক শিপা’র সম্পাদক আবুল হোসেন, বাংলার চাষী ও দৈনিক ইনসাফ এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এটিএম নূর উদ্দিন, জাগ্রত বাংলা সম্পাদক-প্রকাশক ও স্বদেশ সংবাদ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা বাদল আচার্য্য, সাংবাদিক শুরেশ কৈরি, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সম্পাদক ও সংবাদ প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান খান, প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, একেএম ফজলুর রহমান সিদ্দিকী, কবি এ্যাডভোকেট শাহজাহান সিরাজী, সুলতান উদ্দিন খান, নিহত সাংবাদিক সরোয়ারোর আলম নোমান, তারাকান্দার সাংবাদিক আব্দুল গফুর, মেসবাহ্ উদ্দিন হেলাল, জীবেশ চন্দ্রবর্তী তনয়, জিরাজুল হক সুরুজ (মুক্তাগাছা), রিয়াজ উদ্দিন আহামেদ (ফুলবাড়িয়া), আবু তালেব (ঈশ্বরগঞ্জ), নীহার রঞ্জন পাল (ধোবাউড়া), চাষী সিরাজ (ফুলপুর), মজিবুর রহমান লিটন, আজকের খবর পত্রিকার সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মকবুল হোসেন বকুল প্রমুখ।