শিমুল শাখাওয়াতঃ
সারাবিশ্বে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে চলছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর আতংক। টাকা পয়সা কোনকিছুই বাঁচাতে পারছেনা এই মরনব্যাধি থেকে। আবিষ্কার হয়নি এখনও কোনও ওষুধ। কেউ বলছে এটা সৃষ্টিকর্তার গজব।
এরই মধ্যে বাংলাদেশে ও ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস।
এহেন পরিস্থিতি মোকাবেলায় নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশের সরকার। গৃহীত সেসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিটি সদস্য। পাশাপাশি আত্মমানবতার সেবায় মাঠে কাজ করছে অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সরকারের সাথে তাল মিলিয়ে তারা যথাসম্ভব জনসচেতনতা তৈরী ও কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা প্রতিরোধে অবিরাম ছুটে চলছেন নেত্রকোনা জেলা পুলিশের আলোচিত নারী পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদা শারমীন নেলী।
তারা প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও ছুটে বেড়াচ্ছেন অবিরত। সৃষ্টি করছেন জনসচেতনতা আর হতদরিদ্রদের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্যসামগ্রী। দেশ রক্ষা ও মানবসেবায় অবিরাম ছুটে চলছেন এই নারী পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদা শারমীন নেলী। পৃথক দুটি থানার দিকনির্দেশনার দায়িত্বে থাকা সার্কেল অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমীন নেলী সামলাচ্ছেন ভারত সীমান্তবর্তী (দুর্গাপুর থানা ও কলমাকান্দা থানা)।
করোনা প্রতিরোধে এই দুই থানার অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন হাটবাজার আর মানুষের বাড়িতে যাচ্ছেন তারা। মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন ও নিশ্চিত করছেন সামাজিক দূরত্ব। পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে হাটবাজারে নিজেরাই করছেন মাইকিং এঁকে দিচ্ছেন গোল বৃত্ত। কোথাও কোথাও মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারও বিতরণ করেন তারা ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে।
সহকারী পুলিশ সুপার (দুর্গাপুর সার্কেল) মাহমুদা শারমীন নেলী পূর্বময় ডটকম কে বলেন,পুলিশে এসেছি উপকারী বন্ধু হয়ে সবসময় মানুষের পাশে থাকার জন্য। আমরা জনগনকে সচেতন করার চেষ্টা করছি পৌর এলাকা, ইউনিয়ন সহ সব জায়গায় বিচরণ করছি মানুষকে সচেতন করতে। এছাড়াও আমরা যখন বের হই তখন সাথে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যায় যাতে করে রাস্তায় কোনও অসহায় মানুষ পেলে তার হাতে ত্রাণ তুলে দিতে পারি। আমি ব্যক্তিগত ভাবেও যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করছি।
করোনা থেকে জীবন বাঁচাতে মানুষকে বুঝিয়ে ঘরে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু করোনা আক্রান্তের ভয়কে উপেক্ষা করে বাহিরে থাকছে পুলিশ। এই ত্যাগই হচ্ছে প্রকৃত পুলিশের ধর্ম। নারী এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, করোনা প্রতিরোধে সচেতনতা সামাজিক দূরত্ব বজায় আর জনসমাগম এড়িয়ে চলার কোনও বিকল্প নেই।
এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছে পুলিশ।করোনা প্রতিরোধে কাজ করার পাশাপাশি নাগরিকের জরুরি সেবার দিকটিও নজরে রাখছেন বিচক্ষণ পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদা শারমীন নেলী।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই থানায় (দূর্গাপুর ও কলমাকান্দা) করোনা মোকাবেলা ও প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ্।