স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহে চালের বাজার মিল মালিক ও হেজবুল্লা রোডের চাল ব্যবসায়ী মিলে সিন্ডিকেট করে বাজার অস্থিতিশীল করে রেখেছে। তবে এ সিন্ডিকেটের নেপথ্য কারিগররা অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ায় চালের বাজার নিয়ন্ত্রন করা কঠিন হয়ে পড়েছে প্রশাসনের পক্ষে। করোনা আতংক শুরু হওয়ার পর থেকেই চাল মিল মালিক ও চালের আড়তদারা মিলে সিন্ডিকেট করে কেজি প্রতি ১০/১৫ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। একটি সুত্র জানায় করোনা আতংক শুরু হওয়ার পর থেকেই চালের আড়তদাররা ও মিল মালিকরা একসাথে মিলে সিন্ডিকেট করে বাজার অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করে। তারই অংশ হিসেবে আড়তদাররা মিল থেকে মাল কিনে মিলেই মজুদ করে রাখে এবং বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এমনকি ২৮ চাল ৫০ কেজির বস্তা ১৭০০ টাকার স্থলে ২২০০/২৪০০ টাকায় বিক্রি করে। এভাবেই ২৯ চাল ১৭০০ টাকার স্থলে ২২০০/২৪০০ টাকায়,নাজির সাইল, ৪৯ চাল,স্বর্না, মিনিকেট ৫০ কেজির বস্তা মিল দরের চেয়ে ৪/৫ শ টাকা বেশি দরে বিক্রি করে মোটা অংক হাতিয়ে নেয়। আর এ কাজে মিল মালিক ও আড়তদাররা সরাসরি জড়িত। যেসব আড়তদাররা নগদ মূল্যে মিল থেকে চাল কিনছে, তাতে ১শ টাকা কম দর পাচ্ছে বস্তা প্রতি। ময়মনসিংহ হেজবুল্লা রোডের চাল ব্যবসায়ী বিধু সাহা,প্রদীপ সাহা,অমূল্য সরকার, বাবুল,প্রশান্ত,দিলীপ সাহা,নজরুল,রমজান ও শামছু মিল মালিকদের সাথে আতাত করে বাজার তাদের নিয়ন্ত্রনে রাখে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মোটা অংকের মুনাফা লুটে নেয়। এদের সাথে যেসব মিল মালিকরা আতাত করে তারা হলো ফুলপুরের কাকলী রাইচ মিল,চুরখাইয়ের সোনালী রাইচ মিল,রহমান রাইচ মিল,পাঙ্গাস মার্কা চাল,শম্ভুগঞ্জের লাঙ্গল ও শাপলা মার্কা চাল কোম্পানী,তারাকান্দার গাভী ওচাক্কা মার্কা চা্ল,মুক্তাগাছার জাহেদ রাইচ মিল ও নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার আজিজ মন্ডলের রাইচ মিল। সুত্র আরো জানায়,ময়মনসিংহের অনেক ব্যবসায়ী মিলের চাল কিনে মিলেই গুদামজাত করে রেখেছে। এ ব্যাপারে মিল মালিক সমিতির সভাপতি খলিলুর রহমান মোবাইলে আজ ২ টা ২৬ মিনিটে জানান, ২/১ টি মিল ছাড়া সব মিল এখন খালী। মিল বন্ধ। সংস্কার কাজ চলছে। সামনে নতুন ধান উঠবে। এখন জেলায় ৪/৫ টি মিল চালু আছে। যারা ব্যান্ড মাল বিক্রি করে। যেমন শম্ভুগঞ্জের আজহারের মিলে কিছু মাল আছে। যা তার নির্দিষ্ট কিছু আড়তদারের জন্য রাখা। যাদের সঙ্গে সারা বছর তারা ব্যবসা করে থাকে। তাহলে বাজারে ক্রাইসিস কেন এবং কারা মুনাফা লুটছে জানতে চাইলে বলেন বাজার অস্থিতিশীল করছে আড়তদারা। প্রশাসন কঠোর হলে তাদের মিল থেকে ক্রয় করার রশিদ দেখে মূল্য নির্ধারন করে দিলে বাজার অস্থিতিশীল করতে পারবে না। ময়মনসিংহ চেম্বারের পরিচালক শংকর সাহা জানান, বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার দায়িত্ব ব্যবসায়ীদের না, প্রশাসনের। এব্যাপারে বাজারের সময় কিছুটা বাড়ানো যায় কিনা জানতে চাইলে বলেন,সেটা আপনারা লেখেন। প্রশাসন যদি বাজার করতে আসা সাধারন মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দুপুর ১ টার পরিবর্তে সময় কিছুটা বাড়ানো দরকার তবে তারা সেটা বিবেচনা করতে পারেন। চেম্বারের কিছু করনীয় নেই।